Posts

Showing posts from December, 2020

জীবনী সাহিত্য কি ? চৈতন্য জীবনী চৈতন্যচরিতামৃত সম্পর্কে আলোচনা করো - pdf

Image
    বাংলা সাহিত্যে চৈতন্যদেবের প্রভাব এক অভাবনীয় ঘটনা। তাকে কেন্দ্রকরে বহু সাহিত্য রচনা হয়েছিলো, এমনকি বাংলার স্থায়ী সমাজ গড়ার কারিগর ছিলেন তিনি। তাকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েক খানি জীবনী গ্রন্থ রচনা হয়েছিল। তাদের মধ্যে সব চেয়ে উল্লেখযোগ্য -  চৈতন্যচরিতামৃত । এখানে জীবনী সাহিত্য ও চৈতন্যচরিতামৃত নিয়ে আলোচনা করা হলো। জীবনী সাহিত্য অনুপম রূপমাধুরী, অসাধারণ শাস্ত্রার্থজ্ঞান, অপ্রাকৃত প্রেম, অহৈতুকী করুণা, অপরিসীম ত্যাগ – অপরূপ এক লাবণ্যলতার লীলায়িত বন্ধনে বন্দী হয়ে বাংলার মাটিতে মূর্তি পরিগ্রহ করেছিলেন শ্রীচৈতন্যদেব । সাধারণ মানুষ এই করুণাঘন জীবন দেখে নির্বিশেষ বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়েছে আর ভক্তের দল এই অলোকসামান্য জীবন কথাকে বাণীবন্দী করে অনাগত যুগের চির সম্পদ করে রেখে দিতে প্রয়াসী হয়েছে।    Educostudy.in/চৈতন্যচরিতামৃত   যুগপরম্পরা বাহিত দেবমাহাত্ম্যের কল্পনার জলসাঘরে সম্পূর্ণ এক বাস্তব মানুষের কথা শোনবার জন্য এই প্রথম শ্রোতারা উৎসুক হয়ে উঠলেন। হতাশা-দৈন্যের নিরবধি অশ্রুবাষ্পে আকাশ যখন আকুলিত তখনই ধরার সে কান্নামোচনে মহাপুরুষদের আর্বিভাব। মধ্যযুগের ...

সমাজ ও সাহিত্যে শ্রীচৈতন্যদেবের প্রভাব আলোচনা - pdf

Image
     যুগপুরুষ' চৈতন্যদেবের আগমন ছিল বাংলা সাহিত্যের তথা সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। সেই সময়কার অত্যাচারিত, অপমানিত বাঙালি জাতিকে সঙ্ঘবদ্ধ করারকারণে তিনি আজ ও বাঙালি জাতির কাছে পূজনীয়। তৎকালীন সময়ে বাঙালি সমাজ ও জাতির উপর চৈতন্যদেবের প্রভাব পড়েছিল তা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। এই কারণে এখানে আমরা বাংলা সমাজ ও সাহিত্যে চৈতন্যদেবের প্রভাব তা নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করলাম। সমাজ ও সাহিত্যে শ্রীচৈতন্যদেবের প্রভাব  পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষার্ধে (১৪৮৬ খ্রীষ্টাব্দ) বাংলাদেশে মহাপ্রভুর শ্রীচৈতন্যের আবির্ভাব ঐতিহাসিক তাৎপর্যমণ্ডিত এক যুগান্তকারী ঘটনা। মধযুগের এক ক্রান্তিলগ্নে মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যের আবির্ভাব। দেশের সমকালীন রাজনৈতিক অশান্তি ও সামাজিক বিশৃঙ্খলার মধ্যে তিনি উদারনৈতিক যে কৃষ্ণপ্রেমকথা প্রচার করেন তা তথাকথিত Religion। শুধু হিন্দু ধর্ম নয়, সর্ব ধর্মের সংকীর্ণতার উর্দ্ধে তিনি সর্বমানবিক প্রেমধর্ম প্রচার করেন। জীবে দয়া, ঈশ্বরে ভক্তি এবং ভক্তি উদ্দীপনের জন্য নামসংকীর্তন – মূলত এই ত্রিবিধ আদর্শের উপর চৈতন্যধর্ম সুপ্রতিষ্ঠিত।   তিনিই প্রথম মানুষকে স্বধর্মে গৌরবান্বিত কর...

চৈতন্য জীবনী গ্রন্থ থেকে সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলী - pdf

Image
     মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে চৈতন্যদেবের আগমন যেমন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা তেমনি তাকে কেন্দ্র করে রচিত চৈতন্য জীবনী গ্রন্থ গুলি বাংলা সাহিত্যের মূল্যবান সম্পদ ।বাংলা সাহিত্যের পরবর্তী সময়ের প্রেমাষ্পদ রূপ মূল্যবান বিভিন্ন জীবনী কাব্য গ্রন্থ গুলিতে চৈতন্য জীবনী কাব্য গ্রন্থ গুলির প্রভাব পড়েছে। চৈতন্যদেবের উল্লেখযোগ্য দুটি জীবনী গ্রন্থ হল চৈতন্য ভাগবত ও শ্রীশ্রীচৈতন্যচরিতামৃত । এছাড়াও বেশ কয়েক খানি চৈতন্য জীবনী গ্রন্থ তাকে কেন্দ্র করে রচিত হয়েছিল, সেই সকল গ্রন্থ থেকে বিভিন্ন সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর এখানে আলোচনা করা হল যা  বাংলা সাহিত্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চৈতন্য জীবনী গ্রন্থ থেকে সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলী 1. শ্রীচৈতন্যদেব কবে কোথায় জন্মগ্রহণ করেন? উঃ ১৪০৭ শকাব্দের ২৩ শে ফাল্গুন দোল পূর্ণিমার দিন (১৪৮৬ খ্রীঃ ১৮ই ফেব্রুয়ারি) নদীয়ায় শ্রীচৈতন্যদেব জন্মগ্রহণ করেন। 2. শ্রীচৈতন্যদেবের পিতা ও মাতার নাম কী? উঃ জগন্নাথ মিশ্র ও শচী দেবী। Educostudy.in/চৈতন্য-জীবনী 3. বাল্যকালে শ্রীচৈতন্যদেব কি নামে পরিচিত ছিলেন?  উঃ নিমাই। 5. শ্রীচৈতন্যদেবের কয়েকজন সহ...

বৈষ্ণব পদাবলীর সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলী - বাংলা সাহিত্যের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর - pdf

Image
  বাংলা সাহিত্যে বৈষ্ণব পদাবলী একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ও গুরুত্বপূর্ণ পর্ব বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। বাংলা বিষয়ের শিক্ষক ও ছাত্রছত্রীদের জন্য এই বিষয় থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন গুলি আমরা ইতিমধ্যে আলোচনা করেছি। এছাড়াও বাংলা সাহিত্যের অন্যান্য সকল প্রশ্ন গুলি আমরা একদম নিচে পরপর দিয়েছি। এখানে আজ আমরা বৈষ্ণব পদাবলী থেকে যেসকল সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন গুলি খুব গুরুত্বপূর্ণ তার উত্তর ও প্রশ্ন আলোচনা করব। আপনাদের সুবিধার্থে যেহেতু এই আলোচনা তাই অবশ্যই নিচের কমেন্ট করবেন যদি অন্য কোনো প্রশ্ন আপনার প্রয়োজনে লাগে।  বৈষ্ণব পদাবলীর সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলী 1. পদাবলী শব্দটি প্রথম কে কোথায় ব্যবহার করেন? উঃ জয়দেব, তাঁর গীতগোবিন্দ কাব্যে। 2. বিদ্যাপতি কার কাছ থেকে ‘অভিনব জয়দেব’ উপাধি লাভ করেছিলেন? উঃ রাজা শিবসিংহের কাছ থেকে। Educostudy.in/বৈষ্ণব-পদাবলী 3. ‘দ্বিতীয় বিদ্যাপতি নামে কাকে অভিহিত করা হয়? উঃ গোবিন্দদাসকে। 4. কে কত সালে কোথায় প্রথম বিদ্যাপতির পদ উদ্ধৃত করেন? উঃ ১৮৫৮-৫৯ খ্রীষ্টাব্দে রাজেন্দ্রলাল মিত্র ‘বঙ্গভাষার উৎপত্তি’ নামক প্রবন্ধে। 5. কে কত সালে কোন প্রবন্ধে বিদ্যাপতির প্রকৃত পরিচয় উদ্ঘা...