Posts

Showing posts with the label BNG-Grammar

পালামৌ গ্রন্থে লেখকের ব্যাঘ্র শিকারের ঘটনাটি বর্ণনা কর

Image
    সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত পালামৌ একটি ভ্রমণ মূলক গ্রন্থ। গ্রন্থটিতে পালামৌ পরগনাতে যাবার ও পালামৌ পরগনা দেখে লেখক এর বিভিন্ন ভালোলাগা মন্দলাগা সেখানকার বিভিন্ন উপজাতিদের সংমিশ্রণে আসা তাদের জীবনযাত্রা সম্পর্কে এক পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা এই গ্রন্থে আমরা পেয়ে থাকি। পালামৌ গ্রন্থে লেখকের ব্যাঘ্র শিকারের ঘটনাটি বর্ণনা কর    এই পালামৌ প্রবন্ধের তৃতীয় পর্বে লেখক সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় পালামৌ পরগনাতে অবস্থিত লাতেহার পাহাড়ের সৌন্দর্য বর্ণনা করেছেন। তিনি প্রায় প্রত্যেকদিন এই লাতেহার পাহাড়ের সৌন্দর্যকে উপভোগ করার জন্য বিকাল বেলায় একা একা পাহাড়ে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকতেন।    লেখক একদিন লাথিহার পাহাড় দেখতে বিকালবেলায় বেরিয়েছিলেন। হঠাৎ করে তার যাত্রা পথে একটি ছেলেকে দেখতে পান যে বিলদর্পে সেই পাহাড়ের দিকে যাচ্ছিল। আর তার পিছনে ছিল কতগুলি স্ত্রীলোক যারা ছেলেটির সঙ্গে সঙ্গেই চলছিল। লেখক সঞ্জীবচন্দ্র এই দৃশ্য দেখে মনে করেছেন হয়তো ছেলেটি ভাতের উপর রাগ করে বাড়ি ছেড়েছে তাই বাড়ির রমনীরা তাকে আটকানোর চেষ্টা করছে।   এরপর লেখক তাদের কাছে উপস্থিত হয়ে ছেলেটির সামনে দাঁড়ালে রমনীরা এক পাশে

ভাষা ও উপভাষা ও সমাজ ভাষার সম্পর্ক

Image
     কালের বিবর্তনে ভাষাগুলির একটি আঞ্চলিক সীমাবদ্ধতা বিশেষ্য রূপ লাভ করে ভাষার এই ছোট ছোট একক গুলিকে আমরা  উপভাষা  বলতে পারি । মনে রাখা প্রয়োজন একটি নির্দিষ্ট ভাষা বিশিষ্ট অঞ্চলের মধ্যে ছোট ছোট সীমাবদ্ধ অঞ্চলে এই ধরনের  উপভাষা  যুক্ত কথ্য ভাষা গড়ে ওঠে। উপভাষা ও সমাজ ভাষা    আবার যে জনসমষ্টি একই ধরনের ধ্বনি সমষ্টির বিধিবদ্ধ রূপের দ্বারা নিজেদের মধ্যে ভাব বিনিময় করে সেই সকল জনসমষ্টিকে ভাষাবিজ্ঞানীরা একটি  ভাষা সম্প্রদায়  বলেছেন। কিন্তু একটি ভাষা সম্প্রদায়ের ভাষার রূপ সর্বত্র একরকম নয়। সমাজ ভাষা    অঞ্চল ভেদে যেমন একই ভাষার মধ্যে অল্পস্বল্প পার্থক্য হয় তেমনি সামাজিক স্তর ভেদেও একই ভাষাভাষী লোকের কথায় অল্প বিস্তর পার্থক্য হতে পারে। একজন ব্রাহ্মণ পণ্ডিত, একজন অধ্যাপক, একজন উকিল, একজন রাজনৈতিক নেতা, একজন শ্রমজীবী এবং একজন দাগি অপরাধীর ভাষার উচ্চারণ ও শব্দ ব্যবহারে বেশ পার্থক্য চোখে পড়ে। একই ভাষার মধ্যে সামাজিক স্তর ভেদে এই যে পার্থক্য একে আমরা সামাজিক উপভাষা বলে থাকি।     একই সমাজে বসবাসকারী মানুষের শিক্ষাগত যোগ্যতায়, পেশাগত কারণে কারণে নানা বিধ বৈচিত্র হেতু সামাজিক উপভাষা গড়ে

ভাষা ও উপভাষার মধ্যে সম্পর্ক ও পার্থক্য | ভাষা ও উপভাষা

Image
  ভাষা এবং উপভাষা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা এর আগেই করা হয়েছে সুতরাং এ দুটি বিষয়ের বিশদ ধারণা পড়তে হলে এখানে ক্লিক করুন । ভাষা ও উপভাষা দুটি সম্পর্কে একটু সাধারণ ধারণা নেই আমরা ভাষা ও উপভাষার মধ্যে যে সম্পর্ক আর যে পার্থক্য বিদ্যমান তা দেখে নেব।  ভাষা ও উপভাষা কি    ভাষা হল মানুষের বাকযন্ত্র নিঃসৃত ধ্বনি সমষ্টি যার দ্বারা মানুষ একে অপরের সঙ্গে ভাব বিনিময় করতে পারে। আর অন্যদিকে উপভাষা হলো একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে মানুষের ভাব বিনিময় এর একটি মূল ভাষার যে নিজস্ব ছাদ, অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের মানুষ যখন ভাব বিনিময়ের জন্য কোন মূল ভাষার সামান্য পরিবর্তন করে NIJEDER মত ব্যবহার করে তখন তাকে আমরা উপভাষা বলি . ভাষা ও উপভাষার মধ্যে সম্পর্ক     ভাষা এবং উপভাষার এই সাধারণ ধারণার পরে এখন বিস্তারিতভাবে এই দুটি বিষয়ের মধ্যে আলোকপাত করা যেতে পারে। আর এই দুটি বিষয়ের স্বতন্ত্রতা খুঁজে বের করলেই আমরা ভাষা ও উপভাষা সম্পর্কে ধারণাকে আরো মজবুত করে তুলতে পারব।  ভাষা ও উপভাষার মধ্যে সম্পর্ক ও পার্থক্য     ভাষা ও উপভাষার সম্পর্ক নির্ণয় এর জন্য উভয়ের মধ্যে যে পার্থক্য তাকে স্পষ্টভাবে বোঝা প্রয়োজন।

ভাষা ও উপভাষা কাকে বলে | ভাষা ও উপভাষার স্বরূপ আলোচনা

Image
    ভাষা ছাড়া বাকযন্ত্র যুক্ত জীবের ভাব বিনিময় করার অনেক মাধ্যম থাকলেও ভাষায় এমন একটি মাধ্যম যার দ্বারা মানুষ একে অপরের সঙ্গে এবং সমাজবদ্ধ মানুষদের সঙ্গে খুব সহজেই ভাব বিনিময় করতে পারে। মানুষ যবে থেকে তার মনের ভাব অন্য কারো সঙ্গে ভাগাভাগি করতে চেয়েছে তবে থেকে শুরু হয়েছে ভাষা শব্দটির পথ চলা, কালে কালে এই শব্দটি বহুবিস্তৃত হয়ে উঠেছে। ভাষা আজ নিজের গণ্ডি ছাড়িয়ে জন্ম দিয়েছে উপভাষা, সমাজ ভাষা, এমনকি বিভাষা, নি - ভাষার ।   আমাদের আলোচ্য ভাষা ও উপভাষা বিষয়টিকে নিচে যথাযথভাবে আলোচনা করা হলো -  ভাষার সংজ্ঞা ও স্বরূপ     মানুষ সমাজবদ্ধ জীব। সমাজে পারস্পারিক ভাব বিনিময়ের জন্য যার সাহায্যে মানুষ নিজের মনের ভাব প্রকাশ করে সাধারণভাবে তাকেই আমরা ভাষা বলে জানি। যদিও অঙ্গভঙ্গির সাহায্যে বা ইশারার সাহায্যে অনেক সময় মানুষ তার মনের ভাব প্রকাশ করে থাকে, ভাষাবিজ্ঞানে এইসকল অঙ্গভঙ্গি বা ইশারাকে সংকেত মনে করা হলেও এদেরকে ভাষা বলা হয় না।      কারণ ভাষা হল একমাত্র ধ্বনিগত প্রতীক, কোন ভঙ্গিগত প্রতীক নয়। আবার এই যে ধ্বনিগত প্রতীক তাকে আবার মানুষের বাগযন্ত্রের সাহায্যে উচ্চারিত হওয়া চাই। ভাষার সং