ব্রেইল পদ্ধতি


  অন্ধ শিশুদের শিক্ষাদান পদ্ধতির মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি পদ্ধতি হল ব্রেইল পদ্ধতি রেল পদ্ধতি নিয়ে অনেক গবেষণা হয়ে থাকে এখানে ব্রেইল পদ্ধতি কি এবং পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।


ব্রেইল পদ্ধতি

   শিক্ষা গ্রহণের  উপর নির্ভর করে শিক্ষার্থী দের সাধারণ   দুই ভাগে   ভাগ করা  যায় এক হলো সাধারণ শিক্ষার্থী দুই হলো বিশেষ শিক্ষার্থী।

সে সকল শিক্ষার্থী রা সাধারণ ভাবেই শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে তারা সাধারণ শিক্ষার্থী আর যারা বা যে সমস্ত শিক্ষার্থীরা সাধারণ  পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে না তার হলো বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থী।

   বিশেষ শিশুদেরকে আবার কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায় যেমন দৃষ্টি গত দিক থেকে, শ্রবণ গত দিক থেকে ইত্যাদি। দৃষ্টি জনিত ত্রুটির জন্য সে সকল শিশু শিক্ষা থেকে পিছিয়ে পড়ছে তাদের জন্য ফরাসি দেশের এক শিক্ষাবিদ লুইস ব্রেইল 1829 সালে ব্রেইল পদ্ধতি আবিষ্কার করেন।









  ব্রেইল এক প্রকার স্পর্শ ভিত্তিক পদ্ধতি , অর্থাৎ শিক্ষার্থী কোনো কিছুকে স্পর্শ করে অনুভবের মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণ করে। এই পদ্ধতি আবিষ্কার হবার পর অনেক পরিবর্তন হয়ে ব্রেইল আজ আধুনিক শিক্ষার সব থেকে জনপ্রিয় এক মাধ্যম। 1950 সালে UNESCO ব্রেইল কে বিভিন্ন ভাষার মাধ্যমে তুলে ধরে। এই পদ্ধতিতে এক মোটা পুরু কাগজের উপর স্টাইলাস নামক কলমের দ্বারা উচু উচু ডট তৈরী করা হয়। ওই ডট গুলি বিভিন্ন বর্ণের প্রকাশ করে।


ব্রেইল পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য :


1, সর্ব মোট 6 টি বিন্দু থাকে।

2, ব্রেইল লেখা হয় স্টাইলাস নামক কলম দিয়ে।

3, সাধারণত বাম থেকে ডান দিকে ব্রেইল পড়া হয়।

4, এক জন দক্ষ ব্রেইল পাঠক সর্ব মোট 60 টি শব্দ পড়তে পারেন ।

5, ব্রেইল পদ্ধতি পুরোপুরি স্পর্শ ভিত্তিক পদ্ধতি।

6, একটু বিন্যস্ত থাকে তাই পড়তে সময় বেশি লাগে ।

7, অন্ধ শিক্ষার্থীরা কগুব সহজেই কোনো জিনিস বুঝতে পারে।

Comments

Popular posts from this blog

চর্যাপদ প্রশ্ন উত্তর - বাংলা সাজেশন - বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে চর্যাপদ - pdf

Learning, শিখন। দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞানের প্রথম পার্ট।

রবীন্দ্রনাথের কর্তার ভূত গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর | একাদশ শ্রেণির বাংলা সাজেশন