Class 10 geography suggestions.ভারতের প্রধান প্রধান মৃত্তিকার বৈশিষ্ট্য আলোচনা।
ভারতের প্রধান প্রধান মৃত্তিকা
ভু ত্বকের উপরিভাগে যে সকল পদার্থ সুক্ষ স্তরে অবস্থিত ও সুক্ষ কনা দ্বারা গঠিত, সেই স্তরকেই মৃত্তিকা বলে।
সাধারণত শিলাচূর্ণ, বিয়োজিত, জৈব-যৌগ, অণুজীব, জলীয় দ্রবণ, বায়ু প্রবৃত্তির সমন্বয়ে মাটি বা মৃত্তিকা গঠিত হয়। Madhyomik Geography suggestions 2020
ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের শিলার প্রকৃতি, স্বাভাবিক উদ্ভিদ, জলবায়ুর তারতম্যের জন্য মৃত্তিকারও তারতম্য ঘটে। ভারতের সমস্ত ভু খন্ডের মৃত্তিকা কে সাধারণত 6 টি ভাগে ভাগ করা যায়। সেগুলি নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো --
DOWNLOAD EDUCOSTUDY APP FROM PLAYSTORE CLICK HERE
পলি মৃত্তিকা
অবস্থান
ভারতের সিন্ধু, গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা বৃহৎ সমভূমি মূলত পলিমৃত্তিক দ্বারা গঠিত। এই নদী গুলি ক্ষয় ও বহন কার্যের মাধ্যমে যে পলি সমভূমিতে সঞ্চয় করেছে তার ফলে গড়ে উঠেছে বিশাল পলি দ্বারা নির্মিত সমভূমি। Madhyomik Geography suggestions 2020
বৈশিষ্ট্য
১) ভারত বর্ষের সমস্ত নদী গঠিত অঞ্চল পলি দ্বারা গঠিত।
২) সমভূমির প্রাচীন পলল মৃত্তিকা কে ভাঙড় এবং নবীন মৃত্তিকা কে খাদার বলে।
৩) পলি মৃত্তিকার উপরের স্তরে লবণের স্তর দেখা যায়।
৪) ভাঙড় মৃত্তিকায় চুনের পরিমান বেশি থাকে, তাই এর নাম ঘুটিং।
৫) শুষ্ক অঞ্চলের পলি মৃত্তিকায় লবনের ভাগ বেশি থাকে একে কালার বলে।
DOWNLOAD EDUCOSTUDY APP FROM PLAYSTORE CLICK HERE
কৃষিকাজ
পলি মৃত্তিকায় প্রধানত ধান, গম, পাট, ডাল ,ইক্ষু ইত্যাদি ভালো চাষ হয়। Madhyomik Geography suggestions 2020
কৃষ্ণ মৃত্তিকা
অবস্থান
দাক্ষিণাত্যের লাভা গঠিত অঞ্চলে প্রধানত মহারাষ্ট, মধ্যপ্রদেশ ও গুজরাটের কিছু অংশে এই মৃত্তিকা দেখা যায়।
বৈশিষ্ট্য
১) এই মৃত্তিকা প্রধানত বেসল্ট থেকে উৎপন্ন হয়।
২) কৃষ্ণ মৃত্তিকায় কাদার পরিমান বেশী থাকে।
৩) এই জাতীয় মৃত্তিকায় চুন জাতীয় পদার্থ বেশি দেখা যায়।
৪) এই মৃত্তিকার জল ধারণ ক্ষমতা বেশি।
DOWNLOAD EDUCOSTUDY APP FROM PLAYSTORE CLICK HERE
কৃষিকাজ
এই মৃত্তিকায় তুলে চাষ সবথেকে ভালো হয়। তবে ইক্ষু, গম, তামাক, চীনা বাদাম ইত্যাদিও প্রচুর পরিমানে জন্মায়।
লোহিত মৃত্তিকা
অবস্থান
দাক্ষিণাত্যের মালভুমি অঞ্চল অর্থাৎ তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, প্রভৃতি রাজ্যে এই মৃত্তিকা দেখা যায়। Madhyomik Geography suggestions 2020
বৈশিষ্ট্য
১) এই মাটিতে বালি ও কেওলিনাইট এর পরিমান বেশি থাকে ।
২) প্রাচীন গ্রানাইট শিলা ক্ষয় প্রাপ্ত হয়ে এই শিলা সৃষ্টি হয়।
৩) মাটিতে পটাশ ও ফসফেট বেশি দেখা যায়।
৪) এই মাটিতে বালু কণার ভাগ বেশি থাকে।
কৃষিকাজ
এই মাটিতে রাগি, জোয়ার, তৈল বীজ, জন্মায় এবং সামান্য পরিমানে ধান, বাজরা, তুলাও জন্মায়।
লাটারইট মৃত্তিকা
অবস্থান
কর্ণাটক ও মালাবার অঞ্চলে, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ ও উড়িষ্যায় এবং ছোটনাগপুর অঞ্চলে এই জাতীয় মৃত্তিকা দেখা যায়।
বৈশিষ্ট্য
১) এই মাটি লাল বাদামি ও হলদে রঙের হয়ে থাকে।
২) এই মাটিতে এলুমিনিয়ামের ভাগ বেশি থাকে।
৩) এই মাটিতে কাঁকড়ার ভাগ বেশি থাকে, যা দেখে মনে হয় কাকোর দিয়ে তৈরী।
৪) এই মাটিতে লোহার পরিমান বেশি থাকে। Madhyomik Geography suggestions 2020
কৃষিকাজ
উপযুক্ত পরিমানে জল সার ও সেচ প্রয়োগের মাধ্যমে গম, জোয়ার, বাজরা, ভুট্টা, কাজু বাদাম, রবার ইত্যাদি চাষ করা যায়।
মরু মৃত্তিকা
অবস্থান
রাজস্থানের শুষ্ক মরুভূমি , গুজরাটের কথিয়াবাড়, কচ্ছের রণ, এবং পাঞ্জাব ও হরিয়ানা অঞ্চলে এই ধরণের মৃত্তিকা দেখা যায়।
বৈশিষ্ট্য
১) এই মৃত্তিকায় বালি ও নুড়ির পরিমান বেশি থাকে।
২) এই মৃত্তিকা অনুর্বর হয়।
৩) এই মৃত্তিকায় লবণের পরিমান বেশি থাকে।
৪) মরু মৃত্তিকা জল ধরণের অনুপযোগী।
কৃষিকাজ
মরু মৃত্তিকা অনুর্বর হয়, কিন্তু কিছু পরিমানে গম, তুলা, জোয়ার ,বাজরা ইত্যাদি চাষ করা যায়। Madhyomik Geography suggestions 2020
পার্বত্য মৃত্তিকা
অবস্থান
ভারত বর্ষের প্রায় সকল পার্বত্য অঞ্চলে এই ধরণের মৃত্তিকা দেখা যায়। হিমালয়, নীলগিরি পর্বতের পাদদেশে এই মৃত্তিকা দেখা যায়।
বৈশিষ্ট্য
১) পার্বত্য মৃত্তিকায় হিউমাস দেখা যায়।
২) এই ধরণের মৃতয়িক হালকা মাত্রই অম্ল যুক্ত হয়।
৩) এই মৃত্তিকা পাথুরে প্রকৃতির হয়।
৪) এই মৃত্তিকার রং ধূসর বা বাদামি হয়।
DOWNLOAD EDUCOSTUDY APP FROM PLAYSTORE CLICK HERE
কৃষিকাজ
এই ধরণের পার্বত্য মৃত্তিককে পডজল মৃত্তিকা বলা হয়। পার্বত্য মৃত্তিকায় চা, কফি ইত্যাদি ফসল ভালো হয়।
Madhyomik Geography suggestions 2020
Madhyomik Geography suggestions 2020
R question daoni keno
ReplyDeleteরাগি কোন মাটির ফসল?
ReplyDelete