Madhyomik Geography suggestions 2020. ভারতের প্রধান প্রধান নদ নদী






                  ভারতের প্রধান প্রধান নদ নদী



        ভারত নদীমাতৃক দেশ। নদীমাতৃক দেশ হবার জন্য ভারতের জলসম্পদের প্রধান ভিত্তি হলো নদ নদী। ভারতের সমস্ত নদীর উৎস, প্রবাহ পথ, মোহনা এসবের উপর ভিত্তি করে নদী কে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। তবে আমরা আলোচনার সুবিধার জন্য মোট চারটি ভাগ করবো। নিচে তিনটি ভাগ নিয়ে আলোচনা করা হলো। Madhyomik Geography suggestions 2020









                          উত্তর ভারতের নদ নদী


     উত্তর ভারতের নদী গুলি তাদের অবস্থান ও গতি পথের উপর নির্ভর করে দক্ষিণ ভারত থেকে আলাদা হয়েছে। এই অঞ্চলের প্রধান নদ নদী





সিন্ধুনদ ( Indus) 


        মোট গতিপথ 2880 কিমি। তিব্বতের মানস সরোবরের উত্তরে "সিন - কা - বাব" হিমবাহ থেকে সিন্ধু নদের উৎপত্তি। নদ টি শুরু হওয়ার পর প্রায় 250 কিমি পরে এসে ভারতের সীমানায় প্রবেশ করেছে। ভারতে প্রায় 709 কিমি চলার পর এই নদটি পাকিস্তানে প্রবেশ করেছে। পরে আরো দক্ষিণ পশ্চিমে চলে আরব সাগরে পতিত হয়েছে। সিন্ধুর  সাথে অনেক উপনদী মিলিত হয়েছে  এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো - বিতস্তা, চন্দ্রভাগা, ইরাবতী, বিপাশা, ও  শতদ্রু।


Madhyomik Geography suggestions 2020







গঙ্গানদী


      মোট গতিপথ 2510 কিমি।  হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহের গোমুখ গুহা থেকে গঙ্গা নদীর উৎপত্তি। গঙ্গা একটি আদর্শ নদি কেননা এই নদীর উচ্চ, মধ্য ,ও নিম্ন তিনটি গতি আছে।  উৎস থেকে হরিদ্বার পর্যন্ত উচ্চ গতি। হরিদ্বার থেকে বিহারের রাজমহল পর্যন্ত গঙ্গার মধ্য গতি এবং রাজ মহল থেকে মোহনা পর্যন্ত গঙ্গার নিম্ন গতি প্রবাহিত হয়। বৃহৎ এই নদীর দুই তীরেই অনেক শাখা এবং উপনদীর সৃষ্টি হয়েছে। গঙ্গার শাখা নদী হলো ভাগীরথী, হুগলি ও পদ্মা। কয়েকটি উপনদী হলো রাম গঙ্গা, কোশী, বুড়ি গন্ডক, গণ্ডক ইত্যাদি। গঙ্গা নদীর মোহনাতে পৃথিবীর বৃহৎ ব দ্বীপ সৃষ্টি হয়েছে।








ব্রহ্মপুত্র

      মোট গতিপথ 2900 কিমি এবং ভারতে অবস্থিত পথ 885 কিমি। তিব্বতের মানস সরোবর থেকে উৎপন্ন হবার পর সংপো, দিবং, ব্রহ্মপুত্র, ও পরে যমুনা নাম বাংলাদেশে প্রবেশ করে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে। এই নদীটি তার গতিপথে পৃথিবীর বৃহত্তম বালুচর দ্বীপ মজুলি সৃষ্টি করেছে। এর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য উপনদী হলো - সুবর্নসিরি, ধনসিঁড়ি, মানস, কামেং, কোপিলি ইত্যাদি।  Madhyomik Geography suggestions 2020


  DOWNLOAD EDUCOSTUDY APP FROM PLAYSTORE CLICK HERE




                            পশ্চিম বাহিনী নদী

       ভারতের পশ্চিম দিকে অবস্থিত এই নদী গুলি মধ্যভাগ থেকে উৎপন্ন হয়ে পশ্চিমের আরব সাগরে পতিত হয়েছে। পশ্চিম বাহিনী নদী গুলির মধ্যে উল্লেখ্য



নর্মদা

     মোট গতিপথ 1312 কিমি। মধ্যভারতের মহাকাল পর্বতের অমরকণ্টক শৃঙ্গ থেকে উৎপন্ন হয়ে মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ও গুজরাটের মধ্যদিয়ে প্রবেশ করে খাম্বাত উপসাগরে পতিত হয়েছে। নর্মদা  নদী তার গতিপথে  মার্বেল পাহাড়ের নিচে ধুয়াধর জলপ্রপাত সৃষ্টি করেছে। নর্মদার কয়েকটি উপনদী হলো - বর্ণা, হিরণ ইত্যাদি।







তাপ্তী

    মধ্য ভারতের উচ্চভূমির মহাদেব পর্বতের মুলতায় এর কাছে উৎপন্ন হয়ে মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও গুজরাটের মধ্য দিয়ে শেষে খাম্বাত উপসাগরে পতিত হয়েছে। তাপ্তির কয়েককটি উল্লেখযোগ্য উপনদী হলো - পূর্ণা, বোরি, গিরণা ইত্যাদি।  Madhyomik Geography suggestions 2020



  DOWNLOAD EDUCOSTUDY APP FROM PLAYSTORE CLICK HERE








                            পূর্ববাহিনী নদী

     ভারতবর্ষের দক্ষিণ পূর্বে অবস্থিত এই নদি গুলি মধ্য ভারত থেকে উৎপন্ন হয়ে পূর্বদিকের বঙ্গোপ সাগরে পড়েছে। পূর্ববাহিনী

এই নদি গুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো -



মহানদী

     মোট গতিপথ 842 কিমি। ছত্তিশগড় রাজ্যের রায়পুর জেলার সিহাওয়ার থেকে উৎপন্ন হয়ে ছত্তিশগড় ও উড়িষ্যার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে। মোহনায় বদ্বীপের সৃষ্টি করেছে।  মহানদীর কয়েকটি উপনদী হলো - ব্রাহ্মনি, বৈতরণী, শিবনাথ, টেল ইত্যাদি।  Madhyomik Geography suggestions 2020



গোদাবরী

      মোট গতিপথ 1465 কিমি। মহারাষ্ট্রের নাসিক জেলার ত্রিম্বার্ক শৃঙ্গ থেকে উৎপন্ন হয়ে অন্ধ্রপ্রদেশে প্রবেশ করেছে। অন্ধ্রপ্রদেশে প্রবেশ করে গৌতমী, বশিষ্ঠবৈনতেয় নাম তিনি ভাগে বিভক্ত হয়ে বদ্বীপ গঠন করে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে। গোদাবরীকে দক্ষিণ ভারতের গঙ্গা বলা হয়। পেন গঙ্গা, শবরী হলো গোদাবরীর উল্লেখযোগ্য উপনদী।







কৃষ্ণা

    মোট গতিপথ 1400 কিমি। পশ্চিম ঘাট পর্বতের মহাবলেস্বর শৃঙ্গ থেকে উৎপন্ন হয়ে মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, ও অন্ধ্রপ্রদেশের মধ্যদিয়ে বিজওয়ারার কাছে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে। কৃষ্ণা নদীর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য উপনদী হলো - তুঙ্গভদ্রা, সীমা, বিমা ও বেদবতী ।  Madhyomik Geography suggestions 2020



  DOWNLOAD EDUCOSTUDY APP FROM PLAYSTORE CLICK HERE





কাবেরী

     মোট গতিপথ 805 কিমি। কর্ণাটক রাজ্যের কুরগ জেলার ব্রাহ্মগিরি পাহাড় থেকে উৎপন্ন হয়ে কর্ণাটক ও তামিলনাড়ুর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে নানান শাখায় বিভক্ত হয়ে শেষে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে। কাবেরী নদীর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি উপনদী হলো - হিমবতী, অমরাবতী, সিমসা, ভবানী ইত্যাদি।





## প্রিয় ছাত্র - ছাত্রীরা পরীক্ষাতে সব কয়টি লেখার কোনো প্রয়োজন নেই কারণ প্রশ্নে উল্লেখ থাকে যে উত্তর ভারত না দক্ষিণ ভারতের নদি সম্পর্কে আলোচনা করতে হবে। সুতরাং বুঝতে পারলে যে এখানে মোট তিনটি প্রশ্নের উত্তর লেখা আছে।  Madhyomik Geography suggestions 2020








Comments

Popular posts from this blog

MP 2020 History MCQ suggestions, part 6th,

সপ্ত প্রবাহের নীতি। মাধ্যমিক কমিশনের সপ্ত প্রবাহের নীতি।

Four pillars of Education - শিক্ষার চারটি স্তম্ভ | Delors Commission 1997