Posts

Showing posts from June, 2019

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনের গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত সুপারিশ গুলি আলোচনা করো | Educostudy

Image
      ভারতীয় শিক্ষার ইতিহাসে গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় ছিলো যুগান্তকারী এক পরিকল্পনা। বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষা কমিশনের সদস্যরা মনে করেছিলেন যে পল্লী গ্রামে গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় গুর তুলতে না পারলে গ্রামের স্বার্থ বিঘ্নিত হতে পারে। কারণ সেই সময়ে যে সকল বিশ্ব বিদ্যালয় গড়ে উঠেছিল সেখানে শহর  অঞ্চলের ছাত্র ছাত্রীরা বেশি সুযোগ সুবিধা পাচ্ছিল। এক্ষেত্রে প্রত্যন্ত গ্রামের শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হতে থাকে। এই অসুবিধা প্রথম বিশ্ব বিদ্যালয় কমিশন লক্ষ্য করে ও অসুবিধা দূর করার জন্য গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাব দেয়। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনের গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত সুপারিশ গুলি আলোচনা করো      বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ হল গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারণা। কমিশন উপলদ্ধি করেছিল তৎকালীন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলির দ্বারা শহরের চাহিদাপূরণ হলেও গ্রামের চাহিদা উপেক্ষিত থেকে যায়। তাই গ্রামের ছেলেমেয়েদের চাহিদা মেটানাের জন্য গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা দেখা দেয়।       গ্রামের শিক...

মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশন। aim of Secondary Education Commission 1952 - 52 । শিক্ষার লক্ষ্য

Image
      স্বাধীন ভারতের দ্বিতীয় শিক্ষা কমিশন মুদালিওর কমিশন বা মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশন। মাধ্যমিক শিক্ষার লক্ষ্য সম্পর্কে  এই কমিশনের মতামত ছিলো - আমাদের শিক্ষা লক্ষ্যহীন।  ইংরেজ শাসন কালে  ভারতবর্ষে তাদের শিক্ষা ছিলো নিচু স্তরের, সার্বিক বিকাশের কোনো সুযোগ সুবিধা ছিল না। এই ইংরেজ  নীতির ফলে দেশে বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। শিক্ষিত সমাজের হতাশা গ্রস্ত, দুঃসহ জীবন ইতিহাস পর্যালোচনা করে মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশন এক শিক্ষা নীতি চালু করে। যেখানে শিক্ষার লক্ষ্য সম্পর্কে বলা হয়- Secondary Education Commission 1952 - 52 1. বিদেশি শাসনে শাসিত ভারত বর্ষকে অর্থনৈতিক ভাবে শক্ত করতে হবে ও উন্নত জীবন দর্শন হতে তুলতে হবে। শিক্ষার্থীরা যাতে দ্বায়িত্ব নিয়ে ভারত বর্ষ কে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া ছিলো মাহমিক শিক্ষা কমিশনের অন্যতম  লক্ষ্য। 2. শিক্ষার্থীদের এমন শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে যাতে তারা গণতান্ত্রিক দেশের নাগরিক হিসাবে দায়িত্ব গুলো বুঝে নিতে পারে ও কোনো বাধা কে সহজেই প্রতিরোধ করতে পারবে। 3. মাধ্যমিক শিক্ষার লক্ষ্য হবে দেশের সংস্কৃতিকে সুগঠ...

বিশ্ব বিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনের গঠন ও সুপারিশ সম্পর্কে আলোচনা । University Education Commission.

Image
       উচ্চশিক্ষা বা বিশ্ব বিদ্যালয় স্তরের উন্নতির জন্য 1948 সালের 2 রা নভেম্বর তৎকালীন ভারত সরকার এক কমিশন গঠন করেন, এই কমিশনের কে বিশ্ব বিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন বা University Education Commission  বলা হয়।        এই শিক্ষা কমিশন টি স্বাধীন ভারতের প্রথম শিক্ষা কমিশন। শিক্ষাবিদ ডক্টর সর্বপল্লি রাধা কৃষ্ণানের সভাপতিত্বে এই শিক্ষা কমিশন গঠিত হয়। এছাড়াও যে সমস্ত বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ এই কমিশনের সাথে যুক্ত ছিলেন তারা হলেন - নির্মল কুমার সিদ্ধান্ত, তারা চাঁদ, জাকির হোসেন, মুদালিওর, মেঘনাদ সাহা, করম বহাল,জোসেফ ডাফ প্রমুখ। 1949 সালে এই কমিশন 747 পৃষ্ঠার শিক্ষা সম্পর্কিত এক রিপোর্ট ভারত সরকারের কাছে পেশ করেন, যেখানে উচ্চ শিক্ষার কাঠামো, কার্য ধারা, শিক্ষায় ধর্ম নিরপেক্ষতা ইত্যাদি বিষয় গুলি তুলে ধরা হয়।                                     সুপারিশ 1. উদ্দেশ্য          বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষার লক্ষ্য এমন হবে যাতে শিক্ষার্থীরা রাজনীতি, প...

Women education Article. ভারতবর্ষে নারীশিক্ষার অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনা।

Image
     ইংরেজ সরকারের স্বার্থপরতা ভারতবর্ষের নারীদের শিক্ষার অনেক দূরে সরিয়ে রেখেছিল। তৎকালীন সমাজে নারী ছিলো অন্ত বিকৃত ও চিত্ত ধর্মে সংকুচিত। স্বাধীন ভারতের শাসকবর্গ এটা মর্মে মর্মে উপলদ্ধি করতে পেরেছিলেন বলেই তারা নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষ গুরত্ব দিয়েছেন। তারা বুঝেছিলেন যে নারী সমাজ কে জাগ্রত করতে পারলে স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে ভারতবাসীর বহু স্বপ্ন সফল হবে, এই কারণে নারী শিক্ষার প্রয়োজন হলে পড়ে|         ভারতীয় সংবিধানের 15 নং ধরার 1 নং উপধারাতে শিক্ষা ক্ষেত্রে নারীদের সমান অধিকারের গুরুত্ব প্রদান করা হযেছে। পরবর্তী সময়ে 1948-49 সালে রাধা কৃষ্ণান কমিশন সুপারিশ করেন যে - নারী শিক্ষার ( women education) প্রসার ঘটাতে পুরুষদের কলেজে নারীদেরও সমান সুযোগ দিতে হবে। সমাজের আঙিনায় নারীদের যথাযোগ্য সম্মান দিতে হবে, ও নারী পুরুষের পাঠক্রমে বেশি পার্থক্য রাখলে চলবে না। https://play.google.com/store/apps/details?id=com.educo.study        আবার মুদালিয়র কমিশনে বলা হয় - বালিকাদের জন্যে উপযুক্ত পাঠক্রম সহ পৃথক বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করতে হব...

ভারতীয় শিক্ষায় লঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষা ব্যাবস্থা পরিকল্পনা।

Image
      D.S কোঠারির নেতৃত্বে 1964-66 সালে কোঠারি কমিশন গঠন করা হয়। পিছিয়ে পড়া,অন্নুনত, ও দুর্বল শ্রেণীর মানুষ দের জন্য বিশেষত তপসিলি জাতি, ও উপজাতির সম্প্রদায়ের মানুষদের জন্য এই শিক্ষা কমিশন বিশেষ ভাবেই সোচ্চার ছিলো।       তপশিলি জাতি এবং উপজাতির জনসাধারণ কে শিক্ষিত সমাজে প্রতিষ্ঠা করতে শ্রী ইউ এন বেবারের সভাপতিত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি লঘু সম্প্রদায় ভুক্ত জনগণের জন্য সুপারিশ করেছিল, সেই সমস্ত সুপারিশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো - অ্যাপ ডাউনলোড করুন ক্লিক করে 1. তপসিলী জাতি এবং তপশিলী উপজাতি বিশিষ্ট এলাকায় আশ্রম স্কুল প্রতিষ্ঠা করত হবে। এবং ওই আঞ্চলিক ভাষায় দক্ষ এমন ব্যক্তি শিক্ষকতা করবেন। 2. আশ্রম বিদ্যালয়ের শিক্ষা কালে প্রথম দুই বছর উপজাতীয় ভাষা ও পরের বছর থেকে আঞ্চলিক ভাষা পড়ানোর ব্যাবস্থা করতে হবে। 3. মাধ্যমিক স্তরে হোস্টেলের ব্যাবস্থা করতে হবে, ও ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা বাড়াতে হবে। 4. মাধ্যমিক স্তর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় স্তর পর্যন্ত উপজাতি সম্প্রদায়কে বিশেষ টিউসনের  ব্যাবস্থা করতে হবে।             ...

লঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষা সম্পর্কে ভারতীয় সংবিধান। Lower cast education system in india.

Image
       ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী সমাজের তথা দেশের যে সমস্ত জনজাতি পিছিয়ে পড়া ও সংখ্যায় কম তাদের কে লঘু সম্প্রদায় হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই লঘু সম্প্রদায় কে আবার কয়েকটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়, যেমন তপসিলি জাতি, তপসিলি উপজাতি ইত্যাদি।        ভারতীয় সংবিধানে এই সকল পিছিয়ে পড়া অনুন্নত লঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষার জন্যে কয়েকটি ধারা রাখা হয়েছে। যার মাধ্যমে এই সকল জাতির শিক্ষাকে তারা খুব সহজেই উপলদ্ধি করতে পারবে। অ্যাপ ডাউনলোড করুন ক্লিক করে 1. ভারতীয় সংবিধানের 46 নং ধারায় বলা হয়েছে যে - "রাষ্ট্র বিশেষ যত্নের সঙ্গে দুর্বল শ্রেণী ভুক্ত মানুষের বিশেষত তপসিলি জাতি ও উপজাতির মানুষের উন্নতিতে সাহায্য করবে এবং তাদের সামাজিক অবিচার ও সমস্ত প্রকার শোষণ থেকে রক্ষা করবে" । 2. সংবিধানের 30 নং ধারায় বলা হয়েছে - "ধর্ম বা ভাষা যায় হোক না কেনো সকল শ্রেণীর লঘু সম্প্রদায় ভুক্ত মানুষ তাদের পছন্দ মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও পরিচালনা করার অধিকার পাবে। আবার ধর্ম বা ভাষা যায় হোক না কেনো সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়ের দ্বারা পরিচালিত কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কে সরকারি ...

অন্তর দৃষ্টি মূলক শিখন কি ? এর পরীক্ষাটি লেখ। শিক্ষা ক্ষেত্রে এর ভূমিকা কি ।

Image
   জার্মান তিন বিজ্ঞানী কোফকা, কোহলার, ও ওয়ার্ডিমার গেস্টাল তত্ত্বর প্রচলন করেন। গেষ্টাল তত্ত্বের অর্থ হলো অবয়ব, আকৃতি বা রূপরেখা। এই গেস্টাল বাদীরা অন্তর্দৃষ্টি মূলক শিখনের প্রচলন করেন।      সমস্যা মূলক পরিস্থিতিতে সামগ্রিক রূপ উপলব্ধি হবার পর প্রাণীর কোনো প্রচেষ্টা ও ভুলের প্রয়োজন হয় না, একে অন্তর্দৃষ্টি মূলক শিখন বলে।             অ্যাপ ডাউনলোড করুন ক্লিক করে পরীক্ষা     1913 থেকে 1917 সাল পর্যন্ত আফ্রিকার টেনেরিফ দ্বীপে মনোবিজ্ঞানী কোহলার শিম্পাঞ্জি নিয়ে যে অন্তর্দৃষ্টি মূলক শিখনের উপর পরীক্ষাটি করেন টা নিচে বর্ণনা করা হলো -      বিজ্ঞানী কহলার সুলতান নামে একটি শিম্পাঞ্জি কে বড়ো আকারের একটি খাচাতে ঢুকিয়ে তার মধ্যে দুটি বাঁশের লাঠি রাখেন জার একটির সঙ্গে অন্যটিকে করা লাগানো যায়।      এবার খাচার বাইরে বিজ্ঞানী এমন এক স্থানে খবর বস্তু রাখেন যাতে শিম্পাঞ্জির হাতের নাগালে না আসে। এবার শিম্পাঞ্জিটি ওই খাদ্য বস্তুটি নাগালে পাবার অনেক চেষ্টা করে, কিন্তু পায় না।        সুলতা...