লঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষা সম্পর্কে ভারতীয় সংবিধান। Lower cast education system in india.


 


     ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী সমাজের তথা দেশের যে সমস্ত জনজাতি পিছিয়ে পড়া ও সংখ্যায় কম তাদের কে লঘু সম্প্রদায় হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই লঘু সম্প্রদায় কে আবার কয়েকটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়, যেমন তপসিলি জাতি, তপসিলি উপজাতি ইত্যাদি। 









      ভারতীয় সংবিধানে এই সকল পিছিয়ে পড়া অনুন্নত লঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষার জন্যে কয়েকটি ধারা রাখা হয়েছে। যার মাধ্যমে এই সকল জাতির শিক্ষাকে তারা খুব সহজেই উপলদ্ধি করতে পারবে।



অ্যাপ ডাউনলোড করুন ক্লিক করে





1. ভারতীয় সংবিধানের 46 নং ধারায় বলা হয়েছে যে - "রাষ্ট্র বিশেষ যত্নের সঙ্গে দুর্বল শ্রেণী ভুক্ত মানুষের বিশেষত তপসিলি জাতি ও উপজাতির মানুষের উন্নতিতে সাহায্য করবে এবং তাদের সামাজিক অবিচার ও সমস্ত প্রকার শোষণ থেকে রক্ষা করবে" ।





2. সংবিধানের 30 নং ধারায় বলা হয়েছে - "ধর্ম বা ভাষা যায় হোক না কেনো সকল শ্রেণীর লঘু সম্প্রদায় ভুক্ত মানুষ তাদের পছন্দ মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও পরিচালনা করার অধিকার পাবে। আবার ধর্ম বা ভাষা যায় হোক না কেনো সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়ের দ্বারা পরিচালিত কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কে সরকারি অনুদানের ক্ষেত্রে রাষ্ট্র কোনো বৈষম্য মূলক আচরণ করত পারবে না"।



               অ্যাপ ডাউনলোড করুন ক্লিক করে













3. সংবিধানের 350 A নং ধারায় বলা হয়েছে যে -"ভাষা ভিত্তিক সংখ্যা লঘু সম্প্রদায় ভুক্ত শিশুরা যাতে প্রাথমিক স্তরে মাতৃভাষায় পঠন পাঠন করতে পারে, সে জন্য প্রত্যেক রাজ্য প্রয়োজনীয় সুযোগ দিতে প্রয়াসী হবে"।





4. সংবিধানের 350 এর B উপধারায় বলা হয়েছে - " রাষ্ট্রপতি ভাষা নিরপেক্ষ সংখ্যা লঘুদের জন্যে প্রয়োজনে একজন বিশেষ আধিকারিক নিয়োগ করতে পারবেন।






Comments

Popular posts from this blog

সপ্ত প্রবাহের নীতি। মাধ্যমিক কমিশনের সপ্ত প্রবাহের নীতি।

কন্যাশ্রী প্রকল্প প্রজেক্ট | দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষা বিজ্ঞান প্রজেক্ট কন্যাশ্রী প্রকল্প | Kanyashri Prokolpo Project 2024

Four pillars of Education - শিক্ষার চারটি স্তম্ভ | Delors Commission 1997