Women education Article. ভারতবর্ষে নারীশিক্ষার অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনা।





     ইংরেজ সরকারের স্বার্থপরতা ভারতবর্ষের নারীদের শিক্ষার অনেক দূরে সরিয়ে রেখেছিল। তৎকালীন সমাজে নারী ছিলো অন্ত বিকৃত ও চিত্ত ধর্মে সংকুচিত। স্বাধীন ভারতের শাসকবর্গ এটা মর্মে মর্মে উপলদ্ধি করতে পেরেছিলেন বলেই তারা নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষ গুরত্ব দিয়েছেন। তারা বুঝেছিলেন যে নারী সমাজ কে জাগ্রত করতে পারলে স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে ভারতবাসীর বহু স্বপ্ন সফল হবে, এই কারণে নারী শিক্ষার প্রয়োজন হলে পড়ে|











        ভারতীয় সংবিধানের 15 নং ধরার 1 নং উপধারাতে শিক্ষা ক্ষেত্রে নারীদের সমান অধিকারের গুরুত্ব প্রদান করা হযেছে। পরবর্তী সময়ে 1948-49 সালে রাধা কৃষ্ণান কমিশন সুপারিশ করেন যে - নারী শিক্ষার (women education) প্রসার ঘটাতে পুরুষদের কলেজে নারীদেরও সমান সুযোগ দিতে হবে। সমাজের আঙিনায় নারীদের যথাযোগ্য সম্মান দিতে হবে, ও নারী পুরুষের পাঠক্রমে বেশি পার্থক্য রাখলে চলবে না।



https://play.google.com/store/apps/details?id=com.educo.study
















       আবার মুদালিয়র কমিশনে বলা হয় - বালিকাদের জন্যে উপযুক্ত পাঠক্রম সহ পৃথক বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে। পাঠক্রমের সাথেসাথে গৃহ বিজ্ঞান, সঙ্গীত শিল্পকলা, প্রভৃতি শিক্ষা দিতে হবে।





      শ্রীমতি দুর্গা বাই দেশমুখের নেতৃত্বে জাতীয় নারীশিক্ষা পরিষদ (১৯৫৯) এবং হংসমেহেতার অধীনে হংস মেহেতা কমিটি ভারতের নারী শিক্ষার প্রসারের সরকারের কাছে রিপোর্ট পেশ করেন। এই রিপোর্টের বিষয় ছিলো - অবহেলিত নারীদের জীবনের আঙিনা যাতে সাধারণের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় দীপ্ত হতে ওঠে।







       আবার কোঠারি কমিশন (১৯৬৪ - ১৯৬৬) নারী শিক্ষা সম্পর্কে এক বৃহৎ রিপোর্ট পেশ করেন - ছাত্রীদের জন্যে বৃত্তির ব্যাবস্থা করতে হবে। নারী শিক্ষার প্রসারে বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে। চাকরি দিয়ে নারীদের অনুপ্রাণিত করতে হবে, এবং নারীদের বৃত্তি মূলক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে।





        স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে নারী শিক্ষার সমস্যা সমাধানের জন্য বিভিন্ন কমিটি গঠন করা হয়, তার মধ্যে অন্যতম মাদ্রাজের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভক্ত বৎসলোমের নেতৃত্বে গঠিত সব কমিটি। এই কমিটির আলোচ্য বিষয় গুলি গ্রামাঞ্চলে নারী শিক্ষার বিকাশ সম্পর্কে বিশেষ করে দিয়েছিল। এই কমিশনের কয়েক  সুপারিশ হলো - 





1. গ্রামের বিবাহিতা মহিলাদের কিছু সময়ের জন্যে গুরুমার পদ গ্রহণ করতে হবে।





2. গ্রামের জন গণের মন থেকে নারী শিক্ষার  কুসংস্কার দুর করতে হবে।













3. গ্রামের দরিদ্র মেধাবী ছাত্রীদের  বই ও পোশাক দেবার ব্যাবস্থা করতে হবে।





4. রাজ্য সরকার ও কেন্দ্র সরকার যৌথ ভাবে নারী শিক্ষার ব্যয়ভার গ্রহণ  করতে হবে।



     

   প্রশ্ন ও উত্তর 👉👉। *সংবিধানে  sc, St  দের শিক্ষা




Comments

Post a Comment

Popular posts from this blog

সপ্ত প্রবাহের নীতি। মাধ্যমিক কমিশনের সপ্ত প্রবাহের নীতি।

কন্যাশ্রী প্রকল্প প্রজেক্ট | দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষা বিজ্ঞান প্রজেক্ট কন্যাশ্রী প্রকল্প | Kanyashri Prokolpo Project 2024

Four pillars of Education - শিক্ষার চারটি স্তম্ভ | Delors Commission 1997