MP Histoty Suggestions | ভাষা ভিত্তিক অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য গঠন
ভারত স্বাধীনতার সময় বা তার সামান্য পরে সবথেকে বেশি যে সমস্যার সম্মুখীন হতেহয়েছে তা হলো দেশীয় রাজ্যের ভারত ভুক্তি। দেশীয় রাজ্য গুলি নানান কারণে কখনো আলাদা বা কখনো একটা পেতে চেয়েছে।
সর্ব প্রথম অন্ধ্র প্রদেশ রাজ্যটি ভাষা ভিত্তিক রাজ্য গঠনের দাবি জানায়। অন্ধ্র নেতা টি, প্রকাসম ( অন্ধ্র কেশরী) এর সঙ্গে চক্রবর্তী রাজা গোপাল চারীর সম্পর্ক ভালো ছিল না , এই কারণে তেলেগু ভাষী ও তামিল ভাষীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
তেলেগু ভাষীদের দাবি ছিল - পুরানো মাদ্রাজ কে ভেঙে তামিল ও তেলেগু দুটি আলাদা আলাদা ভাষা ভাষী রাজ্য গঠন করতে হবে। কিন্তু সমস্যা বাঁধে মাদ্রাজ শহর কে নিয়ে, কারণ ভৌগলিক ও ভাষা গত দিক থেকে মাদ্রাজ অন্ধ্রপ্রেশের অংশ হতে পারে না।
১৯৫২ সালে জনপ্রিয় তেলেগু নেতা পত্তি শ্রীরামুলু পৃথক অন্ধ্র রাজ্যের জন্য আমরণ অনশন শুরু করে ও ৫৮ দিন পর তার মৃত্যু হয়। এমত অবস্থায় সমস্ত রাজ্য জুড়ে অরাজকতা দেখা দিলে প্রধান মন্ত্রী জহরলাল নেহেরু পৃথক ভাষা ভিত্তিক অন্ধ্রপ্রদেশ মেনে নেন।
১৯৫৩ সালের অক্টোবর মাসে স্বাধীন অন্ধ্রপ্রদেশের ও তামিল নাড়ুর জন্ম হয়। এর সাথে সাথে রাজ্য পুনর গঠন কমিশনের সুপারিশে সমস্ত ভারত বর্ষ কে ১৪ টি প্রদেশে ভাগ করা হয়। হায়দ্রবাদ থেকে ভাগ করে অন্ধ্র কে তেলেঙ্গানা দেওয়া হয়, অন্য দিকে মালাবার ও ট্রিবানকুর - কোচিন এক হলে গঠিত হয় কেরালা রাজ্য। এদিকে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিহারের পূর্ণিয়া জেলার পূর্ব অংশ ও পুরুলিয়া।
Comments
Post a Comment