বসু বিজ্ঞান মন্দির সম্পর্কে টীকা লেখ।

     মাধ্যমিক আধুনিক ইতিহাসের একটি বিশেষ অধ্যায় হলো বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ।আসলে এই পর্ব থেকে বাঙ্গালীদের বিভিন্ন বিজ্ঞান সাহিত্য ইত্যাদি রচনা যাত্রা শুরু হয়েছিল। আমরা আজ এখানে বাঙালি দের অন্যতম বিজ্ঞান মূলক প্রতিষ্ঠান বসু বিজ্ঞান মন্দির সম্পর্কে চার মার্কের মত আলোচনা করব।





বসু বিজ্ঞান মন্দির কি ?


     ১৯১৭ সালে বিশিষ্ট বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার মৌলিক গবেষণার উদ্দেশ্যে একটি বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন যাকে বোস ইনস্টিটিউট বা বসু বিজ্ঞান মন্দির বলা হয়ে থাকে। ইংরেজ শাসন কালে বাংলার বুকে যে সকল শিক্ষা চর্চা কেন্দ্র বা বিজ্ঞান চর্চা কেন্দ্র গড়ে উঠেছিল তার মধ্যে বোস ইনস্টিটিউট বা বসু বিজ্ঞান মন্দির একটি উল্লেখযোগ্য অন্যতম প্রতিষ্ঠান।

বসু বিজ্ঞান মন্দির

    এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলার জন্য বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু তার পূর্ববঙ্গের পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করে তার অর্থ ব্যয় করেন। তার উদ্দেশ্য ছিল বিভিন্ন দেশের আধুনিকতম জ্ঞান এর পীঠস্থান হিসেবে এই বিজ্ঞান চর্চা কেন্দ্র কে তুলে ধরা। এই প্রতিষ্ঠানে বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা যেমন - মাইক্রো বায়োলজি, বায়োকেমিস্ট্রি, বায়োফিজিক্স, পরিবেশবিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নবিজ্ঞান প্রভৃতি সম্পর্কে গবেষণার ব্যবস্থা ছিল।




বসু বিজ্ঞান মন্দিরের অবদান 


   উপনিবেশিক শাসনকালে এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে উঠলেও বাঙ্গালীদের জনজীবনে এবং আধুনিক ভারতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়ে গেছে - 


আবিষ্কার :   বসু বিজ্ঞান মন্দির এই প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন আধুনিক বিজ্ঞান গবেষণা মূলক আবিষ্কার হয়েছে যেমন বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু এখান থেকে তার সর্বশ্রেষ্ঠ কেস্কোগ্রাফ যন্ত্রটি আবিষ্কার করে ছিলেন। 





বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা :  বসু বিজ্ঞান মন্দির এ বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা নিয়ে গবেষণা চলতেছিল বিজ্ঞানের অন্যতম আধুনিক দৃষ্টিকোণ। যেখানে আধুনিক ভারতের সূক্ষ্ম বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা সম্পর্কে আলোচনা করার বা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সুযোগ ছিল।


উন্নত চিন্তা ধারা :  ব্যক্তি জগদীশচন্দ্র বসু বিভিন্ন দেশ ঘুরে বিজ্ঞানের যে জ্ঞান সংগ্রহ করেছিলেন তাকে সমস্ত পরবর্তী বিজ্ঞানীদের মধ্যে প্রসারিত করার জন্য এবং বিজ্ঞানকে উন্নত চিন্তাধারা গঠন করার জন্য এই প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ।



   >>> বসু বিজ্ঞান মন্দির এই প্রশ্নটি সাধারণত 4 মার্কের একটি টীকা প্রশ্ন যুক্ত থাকে সেই কারণে 4 মার্কের জন্যে তোমরা উপরের যে ভাবে লেখা আছে এভাবে লিখলে যথেষ্ট। উত্তরে যদি কোন ভুলভ্রান্তি থাকে সেটা অনিচ্ছাকৃত নিচে কমেন্ট করলে ঠিক করে দেয়া হবে।


আরো প্রশ্ন :


Comments

  1. এখানে একটা বানান ভুল আছে। চলতেছিল লেখা আছে ওটা হবে চলছিল বা চলেছিল।

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

সপ্ত প্রবাহের নীতি। মাধ্যমিক কমিশনের সপ্ত প্রবাহের নীতি।

কন্যাশ্রী প্রকল্প প্রজেক্ট | দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষা বিজ্ঞান প্রজেক্ট কন্যাশ্রী প্রকল্প | Kanyashri Prokolpo Project 2024

Four pillars of Education - শিক্ষার চারটি স্তম্ভ | Delors Commission 1997