বায়ুমন্ডলের উষ্ণতার তারতম্যের নিয়ন্ত্রক হিসেবে স্থলভাগ জলভাগ এবং নগরায়ন ও শিল্পায়নের ভূমিকা ব্যাখ্যা করো।

     সমস্ত পৃথিবী উত্তপ্ত হওয়ার একমাত্র মাধ্যম হলো সূর্য রশ্মি অর্থাৎ সূর্য দ্বারা পৃথিবীর উষ্ণতা পেয়ে থাকে। কিন্তু পৃথিবীর সকল স্থান একই রকম ভাবে উত্তপ্ত হয় না বা পৃথিবীর সমস্ত স্থানে সমান উষ্ণতা বিরাজ করে না। বায়ুমণ্ডলের এই উষ্ণতার তারতম্যের নিয়ন্ত্রক হিসেবে স্থলভাগ ও জলভাগের বন্টন এবং নগরায়ন ও শিল্পায়নের যথেষ্ট ভূমিকা আছে।

বায়ুমন্ডলের উষ্ণতার তারতম্যের নিয়ন্ত্রক হিসেবে স্থলভাগ জলভাগ এবং নগরায়ন ও শিল্পায়নের ভূমিকা ব্যাখ্যা করো।

    আমাদের প্রশ্ন অনুসারে বায়ুমন্ডলের উষ্ণতার তারতম্যের নিয়ন্ত্রক হিসেবে স্থলভাগ ও জলভাগের বন্টন এবং নগরায়ন ও শিল্পায়নের ভূমিকা সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো।




বায়ুমন্ডলের উষ্ণতার তারতম্য কি ? 


    পৃথিবীতে সমস্ত স্থান বা সমস্ত বায়ুমণ্ডল এর উষ্ণতা একই রকম হয় না, পৃথিবীর এক একটি স্থানের উষ্ণতা বা তাপমাত্রা এক এক রকম হয়ে থাকে এই ঘটনাকে বলা হয় বায়ুমন্ডলের উষ্ণতার তারতম্যযেমন পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার সঙ্গে উত্তরের দার্জিলিংয়ের যথেষ্ট তাপমাত্রার পার্থক্য থাকে, এই ঘটনাটি হল বায়ুমন্ডলের উষ্ণতার তারতম্য।


স্থলভাগ ও জলভাগের বন্টন : 


     যে সকল বিষয় গুলোর জন্য পৃথিবীতে বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রা উষ্ণতার মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি হয় তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো স্থলভাগ ও জলভাগের বন্টন। গ্রীষ্মকালে স্থলভাগ যতটা উষ্ণ হয় জলভাগ ততটা হয় না। এই কারণে সমুদ্র থেকে দূরে জলবায়ু মহাদেশীয় প্রকৃতির হয়।

    কিন্তু সমুদ্রের নিকটবর্তী স্থানে সমুদ্রের প্রভাবে জন্য উষ্ণতা কখনোই খুব বেশি বা কম হয় না, এখানকার জলবায়ু সমভাবাপন্ন হয়ে থাকে। অর্থাৎ পৃথিবীর কোন স্থানের স্থলভাগ ও জলভাগের বিস্তার বণ্টনের উপর নির্ভর করে সেখানকার উষ্ণতার পার্থক্য ঘটে।




নগরায়ন ও শিল্পায়নের ভূমিকা :


     পৃথিবীতে বায়ুমন্ডলের উষ্ণতার তারতম্যের নিয়ন্ত্রক হিসেবে নগরায়ন ও শিল্পায়নের যথেষ্ট ভূমিকা আছে। বায়ুমণ্ডল উত্তপ্ত হয় তার বিভিন্ন উপাদানের উপস্থিতির উপর নির্ভর করে। বায়ুর ঘনত্ব যত বেশি হয় বায়ুর বিভিন্ন উপাদান বায়ুতে যত পরিমাণে অবস্থান করে সেইসব স্থানের বায়ু ততো বেশি উত্তপ্ত হয়।

    অর্থাৎ নগরায়ন বা শিল্পায়নের ফলে, শহর অঞ্চলের বায়ুর ঘনত্ব বেশি হয় এই কারণে শহর অঞ্চলের বায়ু অন্য সকল স্থানের বায়ুর অপেক্ষা খুব তাড়াতাড়ি উষ্ণ হয়ে ওঠে। এই কারণে বলা যায় নগরায়ন ও শিল্পায়নের ফলে পৃথিবীর যেকোন স্থানে বায়ুর উষ্ণতা অন্য সকল স্থান থেকে বৃদ্ধি পাবে।




     উপরে খুব সংক্ষেপে বায়ুমন্ডলের উষ্ণতার কারণ হিসাবে স্থলভাগ ও জলভাগের বর্ণনা এবং নগরায়ন ও শিল্পায়নের ভূমিকা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। 


আরো সকল ভূগোল বিষয়ের প্রশ্ন : 



মাধ্যমিক ইতিহাসের বিভিন্ন প্রশ্ন :



বায়ুমন্ডলের উষ্ণতার তারতম্যের ভিডিও :



Comments

Post a Comment

Popular posts from this blog

MP 2020 History MCQ suggestions, part 6th,

সপ্ত প্রবাহের নীতি। মাধ্যমিক কমিশনের সপ্ত প্রবাহের নীতি।

Four pillars of Education - শিক্ষার চারটি স্তম্ভ | Delors Commission 1997