Posts

Showing posts from April, 2021

বাংলা গদ্য সাহিত্যের বিকাশে প্রমথ চৌধুরীর অবদান আলোচনা করো - Educostudy

Image
    আধুনিক বাংলা সাহিত্য জন্ম হতেই শক্ত - পক্ত হয়ে উঠতে পারেনি, বিভিন্ন পরিবর্তন পরিবর্ধনের মধ্য দিয়ে বাংলা সাহিত্য আধুনিক আর আধুনিক বাংলা সাহিত্যের আজকের বর্তমান অত্যাধুনিক সাহিত্যে রূপান্তর।  Educostudy.In/ Pramatha-Chowdhuri     আধুনিক বাংলা সাহিত্য প্রাচীন - মধ্য যুগের অনেক খোলস ত্যাগ করে চলিত ভাষায় নতুন রূপ পেয়েছিল। আর বাংলা ভাষা যার হাতে এই চলিত ভাষায় নতুন দিক পেয়েছিল তিনি প্রমথ চৌধুরী  ( Pramatha Chowdhuri ) । আজ আমরা এই প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিকের বিভিন্ন অবদান ও গ্রন্থ নিয়ে আলোচনা করবো। প্রমথ চৌধুরীর অবদান জন্ম – ১৮৬৮ খ্রীষ্টাব্দ | মৃত্যু – ১৯৪৬ খ্রীষ্টাব্দ | ছন্মনাম – বীরবল   রবীন্দ্রপর্বের দ্বিতীয় পর্যায়ে বাংলা সাহিত্যের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুণী মানুষটির নাম প্রমথ চৌধুরী । ‘ সবুজপত্র ’ নামে একটি চলিত ভাষা ভিত্তিক মাসিকপত্র সম্পাদনা করে বাংলা সাহিত্যে তিনি ‘ বীরবলী-ঢং ’-এর গদ্যরীতির প্রবর্তন করেন। সবচেয়ে বড় কথা রবীন্দ্র সমকালে, রবীন্দ্রস্নেহধন্য হয়েও গদ্য ভাষা লেখার ক্ষাত্রে রবীন্দ্রপ্রভাব মুক্ত ছিলেন তিনি।   বলিষ্ঠ সাহিত্যিক ব্য...

বাংলা গদ্য সাহিত্যের বিকাশে অক্ষয়কুমার দত্তের অবদান আলোচনা করো।

Image
  আধুনিক বাংলা সাহিত্যের পথচলা শুরু হয়েছিল বাংলা গদ্যের বিকাশে। বাংলা গদ্য সাহিত্যের বিকাশে যে সকল সাহিত্যিক, মনীষী উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন অক্ষয় কুমার দত্ত  ( Akshay Kumar Dutta ) ।  Educostudy.In/Akshay-Kumar-Dutta    আমরা এখানে বাংলা গদ্য সাহিত্যের বিকাশে অক্ষয়কুমার দত্তের অবদান সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো, ও তার কয়েকটি বিখ্যাত প্রবন্ধ - পুস্তক নিয়েও আলোচনা করবো।  অক্ষয়কুমার দত্ত বাংলা সাহিত্যের ‘ তত্ত্ববোধিনী ’ পত্রিকার এক অক্ষয় উপহার অক্ষয়কুমার দত্ত। গদ্যসাহিত্যের গড়ে ওঠা যুগের এক অবিস্মরণীয় মাইলস্টোন তিনি। আবেগ নয়, যুক্তি আর বুদ্ধির মোহহীন চর্চাই তাঁর জীবনের মূল মন্ত্র। সংস্কারের দাসত্ব তিনি কোনদিনই করেননি। দৃপ্ত মননশীলতার ক্রংক্রিটে বাঁধানো রাস্তা ধরেই তাঁর জীবনে এগিয়ে চলা। জ্ঞান সাধনার তীর্থতেই তিনি কুড়িয়ে নিয়েছেন প্রয়োজনের উপল-খণ্ড।   আর তা বাংলা সাহিত্যের মেঠোপথে বিছিয়ে দিয়েছেন। তার উপর দিয়ে সেকারণেই ভাবিকালের বহুগুণ ভারী রাজার গাড়িও চলে গেছে অনায়াসে। বাংলা ভাষাতেও যে পাশ্চাত্যের বিজ্ঞান, দর্শন, ভূগো...

বাংলা গদ্য সাহিত্য বিকাশে রাজা রামমোহন রায়ের অবদান আলোচনা করো

Image
    মধ্য যুগের বাংলা সাহিত্য যেভাবে পুরানো রীতি - সংস্কৃতি ত্যাগ করে নতুন ধারায় পুষ্টি পেয়েছিল তারি পরবর্তী ধাপ ছিল আধুনিক সাহিত্য । আধুনিক সাহিত্য সৃষ্টির পথ প্রশস্ত ও মসৃণ করেছিল তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ঊনবিংশ শতাব্দীর যুগপুরুষ ' রাজা রামমোহন রায় ।  Educostudy.In/RajaRamMohan-Roy    এই সময়ের বাংলা সাহিত্য সৃষ্টির এক প্রবল উন্মাদনা জন্মেছিল যদিও তার হাতে খড়ি হয়েছিল ব্রিটিশদের হাতে। তবুও বহু বাঙালি বরেণ্য পন্ডিত পাশ্চাত্যের রীতিনীতিকে হৃদয়াঙ্গম করে প্রাচ্যের ভাবধারা তে পরিবর্তন করে আধুনিক বাংলা সাহিত্যের সৃষ্টি করেছিল।    এইরকম একজন পন্ডিত রাজা রামমোহন রায় । আমরা এখানে রাজা রামমোহন রায়ের বাংলা গদ্য সাহিত্যের বিকাশে যে অবদান তা নিয়ে আলোচনা করলাম।    রাজা রামমোহন রায় জাতীয় জীবন আর সাহিত্যের অগ্রগতি সমানুপাতিক হারে না এগোলেও, একজনের মুক্তি ও বৃদ্ধি অপরটির পক্ষেও একই ফল ঘটাতে সক্ষম। আবার সাহিত্য জীবনের অগণন ক্রিয়াকলাপের শৈল্পিক প্রকাশও বটে।    সেই কারণেই ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম ঘণ্টায় যখন ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠিত হল, রুদ...

কবিগান কি | কবি গানের শর্ট প্রশ্ন ও উত্তর | Kobigan MCQ - Educostudy

Image
  বাঙালির প্রাণের ভাষা বাংলা ভাষা এর এই বাংলা ভাষার প্রথম যাত্রা শুরু হয়েছিল গানের মাধ্যমে। প্রাচীন যুগের সেই বাংলা গানের সূত্র ধরে মধ্য যুগের শেষের দিকে আবির্ভাব হলো কবি গানের ।  Educostudy.In/Kobigan    নতুন এই ধারার জন্ম হলো কিছু তথা কথিত কবিদের হাত ধরে। আজ আমরা এখানে বাংলা সাহিত্যের এই কবি গান ধারা সম্পর্কে সমস্ত শর্ট প্রশ্ন নিয়ে ও তার উত্তর নিয়ে নিচে আলোচনা করলাম।  কবি গানের শর্ট প্রশ্ন ও উত্তর 1. কবিগানের আদি কবি কে? উঃ গোঁজলা গুঁই। 2. রাম বসু কত খ্রীষ্টাব্দে মারা যান? উঃ ১৮২৮ খ্রীষ্টাব্দে। 3. একটি পূর্ণাঙ্গ কবিগানের পালায় কটি বিভাগ লক্ষ করা যায় কী কী? উঃ ১০টি বিভাগ। যথা- চিতেন, পরচিতেন, ফুকা, মেল্‌তা, মহড়া, শওয়ারি, খাদ, দ্বিতীয় ফুকা, দ্বিতীয় মহড়া ও অন্তরা। 4. হরু ঠাকুরের জন্ম ও মৃত্যু সাল লেখো। উঃ জন্ম ১৭৪৯ খ্রীষ্টাব্দে ও মৃত্যু ১৮২৪ খ্রীষ্টাব্দে। 5. কবে কোথায় আখড়াই গানের উদ্ভব হয়? উঃ বাংলা এগারো শতাব্দীর কিছু আগে শান্তিপুরে আখড়াই গানের উদ্ভব হয়। 6. আখড়াই গানের একজন কবির নাম লেখো। উঃ রামনিধি গুপ্ত, মোহনচাঁদ বসু। 7. ‘ টপ্পা ” শব্দটি কী জাতীয় শব্দ? উঃ হ...

শাক্ত ও বৈষ্ণব পদাবলীর বাৎসল্যরসের তুলনা মূলক আলোচনা

Image
   বাংলা সাহিত্যের অন্যতম দুটি প্রধান ধারা শাক্ত পদাবলী ও বৈষ্ণব পদাবলী । শাক্তপদাবলী ও বৈষ্ণব পদাবলী বাংলা সাহিত্যে ভক্ত ও ভগবানের মিলন সংগীত রূপে বাংলা সাহিত্যের স্থান দখল করেছে। এখানে আমরা এই দুটি ভিন্ন ধারার বিষয়ের মধ্যে তুলনা মূলক আলোচনা করবো। শাক্ত ও বৈষ্ণব পদাবলীর বাৎসল্যরসের তুলনা সহস্র কবিকন্ঠের উন্মত্ত ভাববিলাসে, বিশ্বভৌম প্রেমের প্রবল আত্মপ্রচারে, চৈতন্য জীবনের জ্যোতিষ্মান চরিত্রগুণে ষোড়শ-সপ্তদশ শতাব্দীর বৈষ্ণব পদাবলী সাহিত্য সমৃদ্ধির শিখর স্পর্শ করেছিল। কিন্তু সপ্তদশ শতাব্দীর উপান্তে এসে বৈষ্ণব সাধনার জ্যোতির্ময় শশাঙ্কে নানাকারণে কলঙ্করেখা দেখা দিল। Educostudy.In/shakta-baishnab-podaboli   বৈষ্ণব পদাবলী সাহিত্যের এই অস্তমিতকালে শাক্ত পদাবলীর আবির্ভাব। এই সময় শাক্ত কবিরা ঈশ্বর ও ভক্তের সঙ্গে, দেবতা ও মানুষের সঙ্গে মানবিক বৃত্তিযোগের সম্পর্কে একটি নতুন ভক্তিরসের প্রবর্তন করলেন। বিশ্ববিধানের লীলারঙ্গময়ী অট্টহাসিনী জননী সন্তানের বিব্রত বাৎসল্য ও বিষণ্ণ স্নেহের কায়াব্যূহে ধরা দিলেন। বৈষ্ণব কবিরা নিত্য বৈকুণ্ঠের চিরন্তন চারণ, রাধাকৃষ্ণের নিত্য লীলার ধ্যান...