পালামৌ গ্রন্থে লেখকের ব্যাঘ্র শিকারের ঘটনাটি বর্ণনা কর

    সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত পালামৌ একটি ভ্রমণ মূলক গ্রন্থ। গ্রন্থটিতে পালামৌ পরগনাতে যাবার ও পালামৌ পরগনা দেখে লেখক এর বিভিন্ন ভালোলাগা মন্দলাগা সেখানকার বিভিন্ন উপজাতিদের সংমিশ্রণে আসা তাদের জীবনযাত্রা সম্পর্কে এক পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা এই গ্রন্থে আমরা পেয়ে থাকি।


পালামৌ গ্রন্থে লেখকের ব্যাঘ্র শিকারের ঘটনাটি বর্ণনা কর


   এই পালামৌ প্রবন্ধের তৃতীয় পর্বে লেখক সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় পালামৌ পরগনাতে অবস্থিত লাতেহার পাহাড়ের সৌন্দর্য বর্ণনা করেছেন। তিনি প্রায় প্রত্যেকদিন এই লাতেহার পাহাড়ের সৌন্দর্যকে উপভোগ করার জন্য বিকাল বেলায় একা একা পাহাড়ে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকতেন।

পালামৌ গ্রন্থে লেখকের ব্যাঘ্র শিকারের ঘটনাটি বর্ণনা কর

   লেখক একদিন লাথিহার পাহাড় দেখতে বিকালবেলায় বেরিয়েছিলেন। হঠাৎ করে তার যাত্রা পথে একটি ছেলেকে দেখতে পান যে বিলদর্পে সেই পাহাড়ের দিকে যাচ্ছিল। আর তার পিছনে ছিল কতগুলি স্ত্রীলোক যারা ছেলেটির সঙ্গে সঙ্গেই চলছিল। লেখক সঞ্জীবচন্দ্র এই দৃশ্য দেখে মনে করেছেন হয়তো ছেলেটি ভাতের উপর রাগ করে বাড়ি ছেড়েছে তাই বাড়ির রমনীরা তাকে আটকানোর চেষ্টা করছে।


  এরপর লেখক তাদের কাছে উপস্থিত হয়ে ছেলেটির সামনে দাঁড়ালে রমনীরা এক পাশে চলে যায় তারপর জিজ্ঞাসাবাদ করে তিনি জানতে পারেন ছেলেটি বাঘ মারতে চলেছে। কারণ কিছুক্ষণ আগেই বাঘ তার গরু কে মেরেছে। ছেলেটি সদর্পে লেখককে জানিয়েছে - সে ব্রাহ্মণ সন্তান সুতরাং বাঘ না মেরে কোন মুখে সে জল গ্রহণ করবে না।


   এ কথা শুনে লেখক তার সঙ্গে সঙ্গে যেতে প্রস্তুত হয়েছে। পালামৌ পরগনা এসে এত সুন্দর বাগ মারার অভিজ্ঞতা ঘটতে পারে এ জ্ঞান লেখক কখনোই করেনি সুতরাং এই সাহসের গৌরব লেখক আর হাতছাড়া করতে পারল না। কিন্তু যুবকটি তাকে জানিয়ে দেয় লেখক তার সঙ্গে গেলেও বাঘটিকে সে নিজের হাতেই মারবে। 


   পাহাড়ের উপর চলতে চলতে এক সময় ছেলেটি ঘুরে দাঁড়িয়ে লেখক এর জুতো খুলতে অনুরোধ করে কারণ জুতোর চলার শব্দে বাঘ আগে থেকেই তাদের অবস্থান জেনে যেতে পারে। যুবকটি বাঘটিকে মারার জন্য যে ট্যাঙ্গারি নিয়ে এসেছিল তার ধার পরীক্ষা করতে করতে সামনের দিকে এগিয়ে চলে। লেখককে এক জায়গায় দাঁড়াতে বলে সে বাঘের সন্ধান করতে শুরু করে। 


   যুবকটি বাঘের সন্ধান পেয়ে লেখক কে ডাক দেয়। লেখক সেখানে গিয়ে দেখে ভালো মানুষের মতো বাঘটি এক গুহার মুখে শুয়ে নিদ্রা যাচ্ছে। আর এই শান্তভাবটিকে হাতিয়ার করে যুবক আর লেখক পাহাড়ের উপর কার একটি পাথরকে সরিয়ে বাঘের দিকে ঠেলা দেয়। হঠাৎ করে বাঘটি চমকিত হয়ে উঠে দাঁড়ালেও সে পাথরের আঘাতে আবার পড়ে যায়।


   এই ঘটনার সাথে সাথে বাঘের কাজ শেষ হয় কিন্তু জীবন্ত বাঘের সঙ্গে লেখকের সাক্ষাৎ হয় না। পরের দিন লেখক এর তাঁবুতে বাঘটাকে নিয়ে আসা হয় কিন্তু তখনও সে চিরনিদ্রায় থাকার জন্য লেখক এর সঙ্গে বাঘের কোন আলাপ হয়নি - এ কথা জানিয়ে লেখক আক্ষেপ করেছেন।।


TAG ::  পালামৌ,পালামৌ ভ্রমণ,পালামৌ সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়,পালাম,পালামো,পালামৌ কেল্লা,পালামৌ ভ্রমণ কাহিনী,পালামৌ গল্প,পালামৌ দুর্গ,পালামৌ দূর্গ,পালামৌ আলোচনা,পালামৌ যাত্রা,পালামৌ part -1,পালামৌ এর জঙ্গল,পালামৌ এর জঙ্গলে,পালামৌ সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়,পালামৌ ভ্রমন গাইড,পালামু কিলা,পালামৌ ভুতুড়ে দুর্গ,নবম শ্রেণীর পালামৌ গল্প,পালামৌ সম্পর্কে আলোচনা,নবম শ্রেণির রচনা পালামৌ,পালামৌ রচনার প্রশ্নোত্তর,নবম শ্রেণির বাংলা গল্প পালামৌ

Comments

  1. 'পালামৌ' গ্রন্থে যাত্রাপথের বিবিধ বর্ণনা লেখক যেভাবে দিয়েছেন তা আলোচনা করো।

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

চর্যাপদ প্রশ্ন উত্তর - বাংলা সাজেশন - বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে চর্যাপদ - pdf

Learning, শিখন। দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞানের প্রথম পার্ট।

রবীন্দ্রনাথের কর্তার ভূত গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর | একাদশ শ্রেণির বাংলা সাজেশন