অফিসে যাবার পথে মৃত্যু দৃশ্য দেখে মৃত্যুঞ্জয়ের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া কি হয়েছিল | Educostudy
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত কে বাঁচায় কে বাঁচে গল্পটি মন্বন্তরের প্রেক্ষাপট নিয়ে রচিত হয়েছে। এই গল্পটির প্রধান চরিত্র মৃত্যুঞ্জয় যে কোনদিন মৃত্যু দৃশ্য দেখেনি। কিন্তু সেদিন অফিস যাওয়ার পথে মৃত্যু দৃশ্য দেখে তার যে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া হয়েছিল তা নিচে বর্ণনা করা হলো -
মৃত্যুদৃশ্য দেখে মৃত্যুঞ্জয়ের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের "কে বাঁচায় কে বাঁচে" গল্পের নায়ক চরিত্র মৃত্যুঞ্জয়। পায়ে হেঁটে অফিস যাবার পথে সে জীবনে প্রথমবার অনাহারে মৃত্যু দৃশ্য দেখে। আর এই মৃত্যু দৃশ্য দেখার সাথে সাথে তার জীবনের সমস্ত কিছু অন্য পথে বাক নেয়। আর এই পরিবর্তনের একমাত্র কারণ এই মৃত্যু দৃশ্যের প্রতিক্রিয়া। মৃত্যু দৃশ্য দেখে মৃত্যুঞ্জয় মধ্যে যে প্রতিক্রিয়াগুলি ঘটেছিল তা হল -
প্রথম অভিজ্ঞতা - বাড়ি থেকে বেরিয়েই ট্রামে করে অফিসে যাওয়ার কারণে মৃত্যুঞ্জয় কোনদিন ফুটপাতকে ভালো করে লক্ষ্য করেনি। কিন্তু সেদিন পায়ে হেঁটে অফিস যাবার সময় অভুক্ত মানুষের মৃত্যু দৃশ্য ছিল তার জীবনের প্রথম অভিজ্ঞতা। গল্পের সমস্ত ঘটনা ঘটেছে তার এই জীবনের প্রথম দেখা মৃত্যু দৃশ্যর অভিজ্ঞতা থেকেই।
অসুস্থতা - আবেগপ্রবণ আদর্শবাদী মৃত্যুঞ্জয় পথের মৃত্যু দৃশ্য দেখে কয়েক মিনিটের মধ্যেই মানসিক আঘাত পায়। আর এই মানসিক আঘাত মুহূর্তের মধ্যে তার শরীরকে অসুস্থ করে তোলে। দ্রুতপদে অফিসে পৌঁছে শারীরিক অসুস্থতার কারণে বাড়ি থেকে খেয়ে আসা সবকিছু বমি করে দেয়।
নিখিলের দৃষ্টিভঙ্গি - পাশের কুঠিরেই কর্মরত মৃত্যুঞ্জয়ের বন্ধু নিখিল তার খবর নিতে আসে। মৃত্যুঞ্জয়ের মুখে সমস্ত ঘটনা শুনে তার প্রতি নিখিলের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হয়। আমরা ধীরে ধীরে গল্পের শেষে গিয়ে নিখিল এবং মৃত্যুঞ্জয়ের যে মানসিক পার্থক্য তা বুঝতে পারি। এবং এই ক্রিয়ার একমাত্র কারণ ওই মৃত্যু দৃশ্য।
অবসাদগ্রস্থতা - মৃত্যুঞ্জয় কে দেখে নিখিলের মনে হয়েছে সে নিশ্চয়ই কোন সমস্যায় পড়েছে। আর সেই নিরর্থক কঠোর সমস্যা মৃত্যুঞ্জয়কে অবসাদগ্রস্ত করে তুলেছে। সেই অবসাদগ্রস্থ তা থেকে মৃত্যুঞ্জয় বেরিয়ে আসার জন্য শার্সি তে আটকে পড়া মাছির মত প্রতিক্রিয়া শুরু করছে।
প্রতিক্রিয়া - লেখক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় নিখিলের এই গভীর দৃষ্টিভঙ্গির মধ্য দিয়ে মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যু দৃশ্য দেখার একটা প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন । যে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া ছিল অবসাদগ্রস্ততার সাথে হতাশার এবং যন্ত্রণার আর মানসিক অস্থিরতার।
আলোচনার শেষে আমরা বলতে পারি কে বাঁচায় কে বাঁচে গল্পের সমস্ত ঘটনা ঘটেছে মৃত্যুঞ্জয় কে কেন্দ্র করে। আর এই মৃত্যুঞ্জয় চরিত্রটির যে ট্রাজেডি দেখানো হয়েছে তার একমাত্র কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে জীবনে প্রথম দেখা অনাহারে মৃত্যু দৃশ্যটি। সুতরাং এ কথা আমরা বলতেই পারি ফুটপাতের প্রথম দিনের দেখা মৃত্যু দৃশ্যটি মৃত্যুঞ্জয়ের জীবনে এমন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে যা তার জীবনের বাঁক ফেরানোর একমাত্র কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
- বাংলা বিষয়ের অন্যান্য প্রশ্ন ও উত্তর পেতে ক্লিক করো।।
- কে বাঁচায় কে বাঁচে গল্পের বড় প্রশ্ন ও উত্তর।
- ভাত গল্পের বড় প্রশ্ন ও উত্তর।
- ভারত বর্ষ গল্পের বড় প্রশ্ন ও উত্তর।
- রূপনারানের কূলে কবিতার বড় প্রশ্ন ও উত্তর।
- শিকার কবিতার বড় প্রশ্ন ও উত্তর।
- মহুয়ার দেশ কবিতার বড় প্রশ্ন ও উত্তর।
TAG :: কে বাঁচায় কে বাঁচে, কে বাঁচায় কে বাঁচে গল্প, কে বাঁচায় কে বাঁচে গল্পের বিষয়বস্তু, কে বাঁচায় কে বাঁচে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, কে বাঁচায় কে বাঁচে, কে বাঁচায় কে বাঁচে বড় প্রশ্ন উত্তর, কে বাঁচায় কে বাঁচে গল্পের নাট্যরূপ, কে বাঁচায় কে বাঁচে গল্পের প্রশ্ন উত্তর, কে বাঁচায় কে বাঁচে প্রশ্ন উত্তর, দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা কে বাঁচায় কে বাঁচে গল্প, hs bengali কে বাঁচায় কে বাঁচে বড় প্রশ্ন উত্তর 2023, কে বাঁচায় কে বাঁচে গল্পের আলোচনা, কে বাঁচায় কে বাঁচে গল্পের প্রশ্ন উত্তর
Comments
Post a Comment