Posts

Showing posts from February, 2021

চন্ডীমঙ্গল কাব্যের গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র ফুল্লরা ( Fullora ) সম্পর্কে আলোচনা - pdf

Image
    চন্ডীমঙ্গল কাব্যের একটি প্রধান চরিত্র ফুল্লরা ( Fullora ) , কবি স্বর্গ বিতাড়িত একটি চরিত্র কে মর্ত্যের মানবী রূপে অঙ্কন করেছেন। চন্ডীমঙ্গল কাব্যের এই গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র টি সম্পর্কে আজ আমরা এখানে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।  ফুল্লরা অর্থলিপ্সা, স্বপত্নী বিদ্বেষ তথা স্বামী প্রেমের নিরঙ্কুশ অধিকার, পুরাণজ্ঞান, লোকভিজ্ঞতা এবং সেই সঙ্গে ব্রীড়াশীলা, কর্মনিপুণা ও জীবনের নানাবিধ অভাবের বিরুদ্ধে আপসহীন সংগ্রামী চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের আখেটিক খণ্ডের নায়িকা, সঞ্জয়কেতুর কন্যা, কালকেতুর পত্নী ফুল্লরা । সুখ-দুঃখের দোদুল্যমান তরঙ্গে সে ভাসমান। বিশ্বাস-অবিশ্বাসের ঘূর্ণাবর্তে সে পাক খেয়ে চলেছে অবিরত। সক্রিয়তা ও সজীবতায় সে অগ্রণী। রবীন্দ্রনাথের মানস চক্ষেও তার এই জঙ্গমতা এড়িয়ে যায়নি, তাই তিনি বলেছেন – “কবিকঙ্কণ চণ্ডীর সুবৃহৎ সমভূমির মধ্যে কেবল ফুল্লরা ও খুল্লনা একটু নড়িয়া চড়িয়া বেড়ায় –” প্রাক্‌বিবাহপর্বে ফুল্লরার পিতা সঞ্জয়কেতুর মুখে বর্ণিত হয়েছে তার কন্যার গুণাবলী – এই কন্যা রূপে গুণে নামেতে ফুল্লরা। কিনিতে বেচিতে ভাল জানয়ে পসরা।। রন্ধন করিতে ভাল এ কন্যা জানে। যত বন্ধু আইসে তারা কন্যাকে বা...

চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের কালকেতু (Kalketu) চরিত্র সম্পর্কে আলোচনা - pdf

Image
    বাংলা সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্র কলকেতু ( Kalketu ) , নিয়ে আজ আমরা এখানে আলোচনা করবো। এর আগে আমরা ভারু দত্ত ও মুরারী শীল চরিত্র নিয়ে আলোচনা করেছি, বাংলা সাহিত্যে এই সকল চরিত্র নিয়ে আলোচনা খুব গুরত্বপূর্ণ, তাই এখানে তা আলোচনা করা হলো। কালকেতু চরিত্র “নীচ কুলে বাস অতি জাতিতে চোয়াড়। কেহ না পরশ করে লোকে বলে রাঢ়।।” মুকুন্দরামের ‘ চণ্ডীমঙ্গল ’ – এর আখেটিক খণ্ডের নায়ক কালকেতুর এই হল পরিচয় ও পটভূমি। মুকুন্দরামের কবিত্বের সামনে চরিত্র নির্মাণ কয়েকটি সমস্যা নিয়ে দেখা দিয়েছিল। কবি কল্পনার রঙ চড়ানোয় দক্ষ ছিলেন না বলেই চরিত্র নির্মাণে এই সমস্যাগুলি দূর করতে পারেননি।   কালকেতুর চরিত্র তাই কবির অসামান্য শিল্প সৃষ্টির নিদর্শন নয়। আসলে কবির সামনে একটি দ্বন্দ্ব ছিল এই চরিত্রটি নির্মাণের সময়। মূলত সে শাপভ্রষ্ট দেবপুত্র। পৌরাণিক শক্তিসত্তা আর বীর্যবত্তা তার সহজাত অথচ মূল কাহিনীর অনুষঙ্গ ধরে তাঁকে রাখতে হয়েছে অন্ত্যজ শ্রেণীর সামাজিক বলয়ে।  তাদের জীবনচর্চা, আচরণ স্বাভাবিক ভাবেই এই চরিত্রটির মধ্যে মিশে গেছে। অথচ সেই প্রচণ্ড শক্তি আর দেবানুগ্রহলাভের সৌভাগ্য তার চরিত্রের আ...

চন্ডীমঙ্গল কাব্যের মুরারী শীল (Murari-Shil) চরিত্র সম্পর্কে আলোচনা - pdf

Image
 বাংলা সাহিত্যে চন্ডীমঙ্গল কাব্যে আমরা কিছুটা স্বতন্ত্রতা লক্ষ্য করতে পারি। যে সকল চরিত্র গুলি কবি এই কাব্যে তুলে ধরেছেন তার মধ্যে আমরা ভারু দত্ত সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আজ এখানে আমরা চন্ডীমঙ্গল কাব্যের মুরারী শীল (Murari-Shil)  চরিত্র টি সম্পর্কে আলোচনা করলাম - মুরারী শীল চরিত্র কবিকঙ্কণ মুকুন্দরামের ‘চণ্ডীমঙ্গল’ কাব্যের একটি ব্যতিক্রমী অসাধারণ চরিত্র মুরারী শীল । মুরারী চরিত্রের বাস্তবতা কবিকঙ্কণকে আধুনিক সাহিত্যের প্রবেশপথের সামনে দাঁড় করিয়ে দেয়। কারণ উপন্যাসে যে বস্তুনিষ্ঠ নিরপেক্ষ সজীব চরিত্র চিত্রণের দায়বদ্ধতা থাকে উপন্যাসিকের, সেই দায়বদ্ধতা নিয়ে মুকুন্দ রচনা করেছেন মুরারী শীলকে ।  পর্যবেক্ষণের দুটি শক্ত-পোক্ত পা ছিল বলেই কবি সমাজের অভ্যন্তর থেকে, রক্তমাংস মেদবর্ণ সমেত বিকৃতভাবে চরিত্রটিকে সাহিত্যে তুলে আনতে পেরেছেন। মুরারীকে ষোড়শ শতকের সমাজ পরিবেশে খুঁজলে যেমন মিলত, তেমনি একবিংশ শতাব্দীর আধুনিক জগতেও তার দেখা পাওয়া সম্ভব। মানুষ যে কত শঠ, লোভী আর স্বার্থপর হতে পারে তার পরিচয় পাওয়া যায় মুরারী শীলের চরিত্রে । Educostudy.In/Murari-Shil মুরারী শীল সমগ্র কাব্য জুড়ে...

মুকুন্দরাম চক্রবর্তী রচিত ভাঁড়ু দত্ত (Bharu-Dutta) চরিত্র সম্পর্কে আলোচনা - pdf

Image
     মঙ্গলকাব্যের  চন্ডীমঙ্গল  কাব্য শাখায় যে সকল চরিত্র বর্গের নাম পাওয়া যায় তাদের মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য  চরিত্র   ভাঁড়ু দত্ত (Bharu-Dutta) । আমরা আগে  বিভিন্ন মঙ্গল  চরিত্র সম্পর্কে আলোচনা, করেছি আর এখানে, আমরা মুকুন্দরাম চক্রবর্তী রচিত ভাঁড়ু দত্ত (Bharu-Dutta) চরিত্র সম্পর্কে আলোচনা করলাম - style="display:block; text-align:center;" data-ad-layout="in-article" data-ad-format="fluid" data-ad-client="ca-pub-2511659517694820" data-ad-slot="8200529540"> ভাঁড়ু দত্ত চরিত্র  কায়স্থকুলতিলক ভাঁড়ু দত্ত মধ্যয়ুগের বাংলা সাহিতের এক দুর্লভ চরিত্র । পর্যবেক্ষণের দুখানি শক্ত-পোক্ত পা ছিল বলেই মুকুন্দরাম আমাদের চেনাচলতি জীবনের এই সহজপ্রাপ্ত মানুষটিকে তাঁর কাব্যে এমন রসমূর্তি দান করতে পেরেছিলেন। ভাঁড়ুর বৃত্তি কলম-পেশা।   তাঁর সোনা-রূপা নেই, সৈন-সামন্ত নেই, থাকার মধ্যে আছে একটি ‘খরশান’ কলম। এই খরশান কলমের একটি আঁচড়ে ‘খিলভূমি’ লাল হয়ে যেত, কোণাকুনি মাপের বিচিত্র নিয়মে পনেরো কাঠায় বিঘা হিসাবে একই পরিমাণ শস্যে...

চন্ডীমঙ্গল কাব্যর কবি দ্বিজমাধব (Dwij Madhab) এর কাব্য পরিচয় ও কাব্য কৃতিত্ব সম্পর্কে আলোচনা - pdf

Image
  মঙ্গলকাব্যের চন্ডীমঙ্গল কাব্য শাখায় যে সকল কবি বর্গের নাম পাওয়া যায় তাদের মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য  কবি দ্বিজমাধব  ( Dwij Madhab ) । আমরা আগে বিভিন্ন মঙ্গল কবিদের  কাব্য পরিচয় নিয়ে আলোচনা করেছি আর এখানে, আমরা কবি দ্বিজমাধব র কবি পরিচয় ও কাব্য কৃতিত্ব সম্পর্কে আলোচনা করলাম - চন্ডীমঙ্গল কাব্যর কবি দ্বিজমাধব দ্বিজমাধব বাংলা মঙ্গলকাব্যের বৃহৎ প্রেক্ষাপটে একটি বিশিষ্ট নাম। মুকুন্দরামের ছত্রছায়ায় দ্বিজমাধবের কবিত্ব বাংলা সাহিত্যে আড়ালেই পড়ে রয়েছে। কিন্তু একথা যে কেউ মানবেন যে মুকুন্দরাম ভারতচন্দ্রের মত মুষ্টিমেয় উচ্চমানের কবিরা ছাড়া মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে দ্বিজমাধবই অগ্রগণ্য কবি। কবির প্রতিভা খুব বেশী ছিল না, কিন্তু বাস্তবপর্যবেক্ষণশক্তি যথেষ্টই ছিল। তার কাব্যখানি মুকুন্দরামের চণ্ডীমঙ্গলের অসামান্য জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও বাংলায় প্রচারলাভ করেছিল। এটাও কম শ্লাঘার বিষয় নয়। কবিপরিচয় দ্বিজমাধবের কাল নিয়ে অনেক সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। অল্পশিক্ষিত পুথি নকলকারী ও গায়েনদের হাতে এ কাব্যের ভাষায় নানা পাঠান্তর ঘটে গেছে। তার উপর মাধব বা মাধবচার্য্য নামে একাধিক কবি শ্রীকৃষ্ণমঙ্গল, ...

ধর্ম মঙ্গলের কবি ঘনরাম চক্রবর্তীর (Ghanaram-Chakrabarty) কবি পরিচয় ও কাব্য কৃতিত্ব সম্পর্কে আলোচনা - pdf

Image
   মঙ্গলকাব্যের ধর্মমঙ্গল কাব্য শাখায় যে সকল কবি বর্গের নাম পাওয়া যায় তাদের মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য ঘনরাম চক্রবর্তী ( Ghanaram-Chakrabarty ) । আমরা আগে রূপরাম চক্রবর্তীর কাব্য পরিচয় নিয়ে আলোচনা করেছি আর এখানে, আমরা কবি ঘনরাম চক্রবর্তীর কবি পরিচয় ও কাব্য কৃতিত্ব সম্পর্কে আলোচনা করলাম - ঘনরাম চক্রবর্তী ধর্মমঙ্গলের কবিদের মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত কবি ঘনরাম চক্রবর্তী । মনে হয় মঙ্গলকাব্যধারার তিনিই প্রথম কবি যার কাব্য মুদ্রণ সৌভাগ্য লাভ করেছিল। রূপরামের চেয়ে প্রচারিত হবার সুযোগ ঘনরাম সেই কারণেই বেশি পেয়েছেন। কবির কাল ও পরিচয় আয়তনে মহাকাব্যতুল্য গ্রন্থের সমাপ্তিতে কবি তার কাব্যের রচনাকাল নির্দেশ জ্ঞাপক কয়েকটি ছত্র লিখে গেছেন – সঙ্গেত আরম্ভকাল নাহিক স্মরণ। শুন সবে যে কালে হইল সমাপন।। শক লিখে রাম গুণ রস সুধাকর। মার্গকাদ্য অংশে হংস ভার্গব বাসর।। সুলক্ষ্য বলক্ষ পক্ষ তৃতীয়াক্ষ তিথি। যামসংখ্য দিনে সাঙ্গ সংগীতের পুথি।। পণ্ডিতগণ এই রচনাকাল জ্ঞাপক পয়ার পরীক্ষা করে বলেছেন যে ১৬৩৩ শকাব্দ বা ১৭১১ খ্রীষ্টাব্দের অগ্রহায়ণ মাসে শুক্রবার শুক্লা তৃতীয়া তিথিতে তাঁর গ্রন্থ রচনা শেষ হয়। বর্ধমান জেল...